আজকের শিরোনাম :

বিরামপুরে ধানের দাম কম থাকলেও বেড়েছে চালের দাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪০

বিরামপুর নতুন বাজারে চালের আড়তদারির নিকট খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিটি চালের বাজার দর উর্ধ্বমুখী। অথচ এ অঞ্চলের কৃষক আবারো আমন মৌসুমেও ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। আমন ধানের বাজার দর আড়তদারের হাতে জিম্মি? কৃষক শংকিত।

ডিসেম্বর মাস ব্যাংক ক্লোজিং এর অজুহাতে আড়তদাররা দিন দিন কমিয়ে দিচ্ছে পাইকাড়ি বাজারে ধানের দাম। প্রতিদিন মণপ্রতি ১০/১৫ টাকায় কমছে। আড়তে ধান প্রচুর আমদানি হলেও স্থানীয় পর্যায়ে দুই একটা ক্রেতা থাকলেও বাহিরের ক্রেতা নেই বললেই চলে। আড়ৎ এর মহাজনেরা বিরামপুরের বাহিরে ধান পাঠাতে পারছে না। 

গতকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার বাজারে গুটি স্বর্না ধানের মণ ছিল ৫৯০-৬১৫ টাকা, স্বর্না-৫ ধান ৬৫০-৬৬০ টাকা  মনে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও জিরা কাটারী ধান ১৬৮০-১৭০০ টাকা মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে। এর কয়েকদিন আগে স্বর্না ৬৪০ টাকা, স্বর্না- ৬৮০ টাকা দরে বিক্রে হয়েছে।

ধান বিক্রি করে সারাঙ্গপুর গ্রামের কৃষক বাবু হতাশা প্রকাশ করলেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধানের চাষ থেকে আগামীতে কৃষকেরা মুখ ফিরে নিবে। 

অপরদিকে বিরামপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবহাওয়াজনিত কারণ দেখিয়ে চাল ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি ২/৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে স্বর্না ৩৭ টাকা, মিনিকেট ৪০ টাকা ও মোটা চাল ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। 

আজ রবিবার সেই চাল যথাক্রমে ৪০, ৪২ ও ৩০ টাকা দওে বিক্রি হচ্ছে। 

বিরামপুর বাজারে শনি ও মঙ্গলবার দুটি হাট বসে। এছাড়াও প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরামপুর ধান ব্যবসায়ীরা সাধারণ কৃষকগণের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে থাকে। বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হলেও আশানুরূপ ধানের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা শংকিত। 

বিরামপুর ধান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব সোহেল এই প্রতিনিধিকে বলেন বিরামপুরে ধানের বাজারে হরেক রকমের ধান উঠতে শুরু করেছে। চালের বাজার দর উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাইরের ক্রেতারা বিরামপুর থেকে ধান ক্রয় করছে না। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী শনি ও মঙ্গলবারের হাটে অল্প সংখ্যক ধান ক্রয় করলেও অধিকাংশ ধান কৃষকের হাতেই থেকে যাচ্ছে।  

এবিএন/মাহমুদুল হক/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ