আজকের শিরোনাম :

কসবায় খাল ভরাট করে চলছে বসতবাড়ি নির্মান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০১৮, ১২:১৯

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) , ২৮ জুন, এবিনিউজ : সরকারী নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে গত কয়েকদিন যাবত খাল দখল ও ভরাট করে বাড়ি নির্মান করছেন মুমরাজ মিয়া নামে এক সরকারী খাল দখলকারী ভূমিদস্যু। খাল দখলকারী মুমরাজ বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মো.জিতু মিয়ার ছেলে।

এলাকার চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যু মুমরাজ সরকারী খালে দেয়াল নির্মান করে ড্রেজারে মাটি ভরাট করে নির্দিধায় চালিয়ে যাচ্ছে বাড়ি নির্মানের কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ মুমরাজের এসকল অপকর্মে সার্বিক সহায়তা করছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. নবী হোসেন।  

জানা যায়, বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বহমান ঐতিহ্যবাহী গুরুত্বপূর্ন এ খালটি ধীরে ধীরে এলাকার স্থানীয় ভ’মি দস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম খালটি উদ্ধারে কয়েক দফা উদ্যোগ গ্রহন করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। ইউপি সদস্য বলেন খাল ভরাট করে বাড়ি নির্মানের বিষয়টি ইউনিয়ন ভ’মি অফিসের নায়েব নবী হোসেনকে একাধিকবার বলা হলেও নায়েব খাল উদ্ধারের কোন ব্যবস্থাই নেননি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে আসলেও টাকা খেয়ে সে ম্যানেজ হয়ে যায় এমনটাই অভিযোগ নায়েবের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত দুই বছর পূর্বে মুমরাজ খালে দেয়াল নির্মানের সময় নায়েবকে খবর দিয়ে কোন ফল হয়নি। জানা যায় নায়েব ভূমি দস্যু মুমরাজের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তার কাজে বাধা না দিয়ে চলে যায়। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রামের ব্যক্তিদের তোয়াক্কা না করে ভ’মিদস্যু ও এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মুমরাজ সময় সুযোগ বুঝে ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নবী হোসেনকে  মাধ্যমে ম্যানেজ করে বাড়ি নির্মানের কাজ নির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মান্দার পুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ খালটির একাংশ দখল করে বাড়ি নির্মানের কাজ চলছে। স্থানীয়রা জানায় এক সময় এ খালটি এলাকার নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গ্রামের হাট বাজারে মালামাল আনা নেয়া করতো ব্যবসায়ীরা। এ খালটি দিয়েই সারা গ্রামের পানি প্রবাহিত হতো। বিজনা হতে প্রবাহীত এ খালটি মান্দারপুর সহ দুই তিন গ্রাম হয়ে গ্রামের উত্তর প্রান্ত দিয়ে প্রবাহীত অদের খালের সাথে মিলিত হয়ে তিতাস নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে বলে জানায় গ্রামবাসী। কিন্তু খননের অভাবে এবং এলাবাসীর দখলে-দুষনে দিন দিন খালটি সরু খালে পরিনত হচ্ছে। এ সুযোগে এলাকার ভুমিদস্যুদের কড়াল গ্রাসে বিভিন্ন পয়েন্টে বেদখল হয়ে যাচেছ।

এ বিষয়ে খাল দখলকারী মুমরাজের সাথে যোগাযোগ করলে সে সরকারী খাল দখলের কথা অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান বলেন, কোন ভাবেই মুমরাজ সরকারী খাল দখল করতে পারেনা। এভাবে খাল দখল করতে থাকলে পানি প্রবাহের সকল পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং এতে জনদূর্ভোগ তৈরি হবে। আমি এ খাল উদ্ধারের ব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করব।

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো.নবী হোসেন বলেন; আমি অভিযোগ পাওয়ার পর নির্মান কাজ করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা বাধা মানছেনা। 
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবাইদা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাব এবং খাল দখল হয়ে থাকলে দেয়াল ভেংগে দিয়ে খাল উদ্ধার করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এবিএন/মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুল/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ