আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:২০

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমা বেগম (১৪) হত্যার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায়। এদিকে ওই কিশোরীর মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে লাশটি তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর তাকে দাফন করা হয়েছে শহরের আলীপুর পৌর কবরাস্থানে।

নিহত ফাতেমার বাবা এলাহী শরিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে শুক্রবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলাদায়ের করেছেন। সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, পুলিশের ধারনা কিশোরীটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। এজন্য এ হত্যা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নেওয়া হয়েছে।

এসআই বেলাল আরও বলেন, তবে এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের আশে পাশের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর বিকেলে ফাতেমার লাশ তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গোরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে তাকে শহরের আলীপুর পৌর কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ফাতেমা বেগমের বাবা এলাহি শরিফ রিক্সা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএন বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা বড়। ফাতেমা জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক)। ওই কিশোরী বাবার সাথে শহরের রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ফাতেমাকে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকাল ও দুপুরে শহরের মাইকিং করা হয়। নিখোঁজের ২৬ ঘন্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি তেকে অনুমানিক একশ গজ দূরে ওই কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।


এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ