ধর্মপাশা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৯
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘোষ ও মাদক ব্যাবসায়ীদের মদদদাতা হিসেবে অভিযোগ এনে তার প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ব্ক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সুলতান মজুমদার, পাইকুরাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এরশাদ আকন্দ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ- মানব বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ কনিক,সাবেক ইউপি সদস্য একলাছ উদ্দিন প্রমুখ।
এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী, সেলবরষ ইউনিয়ন আওয়ামীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহ আব্দুল বারেক ছোটনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, ওসি এজাজুল ইসলাম প্রায় এক বছরেরও অধিক সময় ধরে ধর্মপাশা থানায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি এ থানায় যোগদান করার পর থেকেই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীসহ দালালদের সাথে আতাত করে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এমনকি এলাকায় গরু চুরি, দোকান পাঠ ও বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। বক্তারা আরো বলেন, ওসি এজাজুল ইসলাম এ থানায় যোগদান করার পর থেকে মিথ্যা মামলায় এলাকার সাধারন মানুষকে হয়রানি করে তিনি গ্রেপ্তার বাণিজ্যের রমরমা ব্যাবসা চলিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয় ওসির মদদে এলাকার সর্বত্রই চলছে জমজমাট জুয়া ও মদের ব্যাবসা।
তাই অনতিবিলম্বে ঘোষখোর, দূর্ণীতিবাজ ওসি এজাজুল ইসলামকে ধর্মপাশা থানা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য পুশিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা।
মহিউদ্দিন কনিক তার বক্তব্যে বলেন,গত উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একদিন রাতে কয়েকজন পুলিশ অফিসার আমার ব্যাবসা প্রতিস্ঠানে এসে বিনা অপরাধে আমাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পর দিন সকালে বিষয়টি ওসি এজাজুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। পরে বিষয়ে আমি পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ভিত্তিহিন দাবি করে
ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন,মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা
এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী, সেলবরষ ইউনিয়ন আওয়ামীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহ আব্দুল বারেক ছোটনসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ