আজকের শিরোনাম :

ড্রেজারে ক্ষতবিক্ষত নাগেশ্বরীর সংকোস নদী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৬

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা কচাকাটা থানার সংকোস নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালুর ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ড্রেজার মেশিনের তান্ডবে সংকোস নদী এখন ক্ষতবিক্ষত। বালু সিন্ডিকেটের একটি দল বছরের পর বছর এই নদীর  বিভিন্ন স্থানের বালু তুলে নদীকে করেছে বিক্ষত। বালু তোলায় ভাঙ্গছে নদীর পাড়সহ স্থানীয়দের আবাদি জমি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলায় হুমকির মুখে আছে কচাকাটা ব্রিজ, গাবতলা ব্রিজ, কচাকাটা ডিগ্রী কলেজসহ কয়েকটি সরকারী স্থাপনা।। মাঝে মধ্যে স্থানীয়দের অভিযোগে প্রশাসন অভিযান চালালেও থামছেনা সংকোসের বালু উত্তলোন।  

উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার, কচাকাটা এবং বল্লভের খাষ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলা এ নদীতে দশটির অধিক ড্রেজার বালু উত্তলোনের কাজে চালু থাকে। বর্তমানে এ নদীর কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের অংশে হাফিজুর ইসলাম নামের একজনের ১টি, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের গাবতলা সেতুর নিকটে গাজিউরের ২টি এবং বল্লভের খাষ পুরাতন পরিষদের নিকটে লিংকন নামের একজনের ১টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলোন চলছে। এছাড়া এই তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান ড্রেজার দিয়ে দুধকুমার নদসহ সরকারী এবং মালিকাধীন জলাশয় থেকে বালু উত্তলোন করে থাকে একাধিক ড্রেজার মালিক। এমনকি সড়ক ও জনপদের সড়কের উপর এবং নিচ  দিয়ে পাইপ বসিয়ে বালু তোলার দৃশ্যও দেখা যায় হরহামেশা।

বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ড্রেজার মালিক ও ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান জানান, কচাকাটা থানা এলাকায় ছোটবড় প্রায় ২০টা ড্রেজার চলে। তিনি নিজেও দুইটা ড্রেজারের মালিক। কখনো সংকোস আবার কখনো দুধকুমার নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তলোন করে থাকে। বর্তমানে সংকোষ নদীতে দুইটি ড্রেজার চলমান রয়েছে তার। এদিকে বরিশালের হাফিজুর ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে বড় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে ব্যবসা করছে বলেও তিনি জানান। এছাড়া কেদার ইউনিয়নের কেরাম আলী, কাচুয়া, মোস্তফা, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের বাচ্চু, হেলাল, বয়েজতুল্লাসহ দশ বারোজন এসব অবৈধ ড্রেজার  ব্যবসার সাথে জড়িত। 

কেদার ইউনিয়নের ভূমি উপ-সহকারী মাসুদ জানান, অবৈধ ড্রেজার বন্ধে আমরা প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এলাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির কারনে তা সফল হচ্ছে না।নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-আহমেদ মাছুম জানান, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চলমান আছে। সংকোস নদীতে ড্রেজারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে ড্রেজারের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

    
এবিএন/জাহিদ আল হাসান/জসিম/বাবর

এই বিভাগের আরো সংবাদ