আজকের শিরোনাম :

কামারখালী বাজার রক্ষার দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:০১

ফরিদপুরের অন্যতম বৃহৎ পাটের মোকাম ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র কামারখালী বাজার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। কামারখালী বাজারের প্রধান গলি জুড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনের আগে সমাবেশে কামারখালী বাজার ব্যবসায়ীগণ জানান, মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়ন থেকে গড়াই নদী হয়ে পাশর্^বর্তী মাগুরা জেলা পর্যন্ত রেল পথ নির্মাণ কাজের সমীক্ষা চলছে। 

গত বছর প্রকল্পটি একনেকের বৈঠকে পাশ হয়। এখন তারা জানতে পেরেছেন, কামারখালী বাজারের মধ্য দিয়ে এ রেলপথ স্থাপন করা হবে। এমনটি হলে শত বছরের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র ও পাটের মোকামটি ভেঙে যাবে। শত শত ব্যবসায়ী ক্ষতিগস্থ হয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসবেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণ বলেন, যে স্থান দিয়ে রেলপথটি নেয়ার কথা জেনেছি হবে সেটি বাজারের মধ্যবর্তী সবচেয়ে  প্রধান গলি। 

এর দুইপাশে বাজারের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ীক ভবন ও প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। প্রায় শত বছরের পুরনো একটি পুজামন্দির রয়েছে সেখানে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ হয়ে গেলে শুধু ঐতিহ্যই নয়, এই বাজারটিই শেষ হয়ে যাবে। বিকল্প হিসেবে পশ্চিম দিক দিয়ে রেল লাইন স্থাপন করা হোক। সেখানে পর্যাপ্ত পরিত্যক্ত সরকারী জমিও রয়েছে। 

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কামারখালী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাদশা মন্ডল, যুগ্ন সম্পাদক আরিফুর রহমান, ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর মোল্যা, আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মোল্যা, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

তারা জানান, প্রায় ৬০ একর জমির উপর বিস্তৃত কামারখালীর এই বাজারটিতে নিবন্ধিত ব্যবসায়ী রয়েছেন ৮শ’ ১০ জন। ১৯শ’ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ আমলে এই ব্যবসা কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। এর বিশেষত্ব হলো, বাজারের প্রতিটি গলির সাথে একাধিক উপ গলি রয়েছে। 

এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা মানোয়ার বলেন, কামারখালী বাজার ভেঙে রেথপথ করার যে কথাটি বলা হচ্ছে এটি সঠিক নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে এই বাজারটিকে রক্ষা করেই পাশ দিয়ে রেল পথ করা হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের ব্যাপারে তিনি বলেন, রেলপথ স্থাপনের প্রাক-সমীক্ষার জন্য আশেপাশের জমির সয়েল টেষ্ট (মাটি পরীক্ষা) করা হচ্ছে। এ জন্য হয়তো তারা হয়তো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। 

 

এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/বিদ্যুৎ

এই বিভাগের আরো সংবাদ