আজকের শিরোনাম :

ডোমারে “পরিদর্শিকা ও সিএসবিএ”র অবহলোয় প্রসুতির মৃত্যু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৩৭ | আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৪৩

জেলার ডোমারে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ল্যাম্পের সিএসবিএ এর অবহেলায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রসূতির মুত্যুর খবরে এলাকাবাসী সকাল থেকে পরিদর্শিকা মর্জিনা বেগম ও সিএসবিএ বুলবুলি বেগমকে প্রায় দুইঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রসূতির মৃত্যু হলেও অদ্যাবধি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কোন কর্মকর্তা প্রসূতির বাসায় যাননি।জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫২ মিনিটে পশ্চিম সোনারায় ফার্মহাটের মোঃ আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সুরজাহান বেগম (৩৫) এর প্রসব বেদনা উঠলে নরমাল ডেলিভারির জন্য সুরজাহানের পরিবার তাকে সোনারায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সুরজাহানের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। প্রসবের পরে বাচ্চা এবং মা দুজনেই ভালো ছিলো। 


কিন্তু প্রসবের দশ মিনিট পরেই সুরজাহানের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় পরিদর্শিকা মর্জিনা বেগম ও সিএসবিএ বুলবুলি বেগম তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না পাঠিয়ে দুটি ইনজেকশন তার দেহে পুশ করলে সুরজাহানের প্রচন্ড পেটব্যাথা ও কোমড় ব্যাথা শুরু হলে সে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় ভ্যানযোগে সুরজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে। সুরজাহানের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে সোনারায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা মর্জিনা বেগম জানান, সাধারণত প্রসবের পরেই প্রসূতির ব্যাথা হতে পারে। 


তাই আমরা এখানেই তাকে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। কিন্তু প্রসূতি বমি করা শুরু করলে তাকে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে তার পরিবারকে বলি। সকালে ফোন যোগে তার মৃত্যুর সংবাদটি শুনতে পাই। আমি প্রসূতির বাড়ীতে না গেলেও আমার স্বামী তাদের বাড়ীতে গিয়ে আলাপ করেছে বলেও তিনি জানান। সিএসবিএ বুলবুলি বেগম জানান, এখানে নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রসূতিরা আসেন। যথারিতি সুরজাহানের সন্তান প্রসব হয়। তারপর তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে আমরা বিষয়টি অতটা সিরিয়াস ভাবে না নিয়ে তাকে এখানেই চিকিৎসা দেই। 


এখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যুঘটে। ল্যাম্পের এফ সি রফিকুল ইসলাম জানান, সিএসবিএ বুলবুলি বেগম তাকে ঘটনা অবগত করেনি। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাফর ঘটনার বিষয়টি শুনে উর্ধ্বতন কৃতপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান।


স্থানীয়রা জানায়, সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগীকে তারা রংপুর বা ডোমারে না পাঠিয়ে তাদের অহেলায় কারণেই রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। তারা পরিদর্শিকা মর্জিনা বেগম এবং সিএসবিএ বুলবুলি বেগমের শাস্তির দাবী জানিয়ে দুই ঘন্টা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

 

এবিএন/মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/বিদ্যুৎ

এই বিভাগের আরো সংবাদ