আজকের শিরোনাম :

ইসলামপুরে বাঁশ দিয়ে যমুনা ভাঙ্গন রোধ ভেস্তে যাবার উপক্রম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৮, ১৬:২৯

জামালপুর, ২৭ জুন, এবিনিউজ : জামালপুরের ইসলামপুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধের ব্যর্থ চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টা ব্যার্থ হবার আশংকা করছেন-যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা। এই প্রক্রিয়াকে অনেকেই আবার উপহাস হিসেবেও মনে করছেন। কেননা নদীভাঙ্গন রোধে দরকার উন্নত-টেকসই প্রযুক্তি। ইতোমধ্যেই দেখা দিয়েছে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ১কোটি ৪৭ লাখ টাকাই যমুনার জলে যাবার আশঙ্কা।

ইসলামপুর উপজেলার উলিয়া ও হাড়গিলা, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের দশানি নদীসহ কয়েকটি পয়েন্টে ৩ হাজার মিটারেরও বেশি যমুনা নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার এই বরাদ্দ দেয়। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে-ঠিকাদার পটুয়াখালির আবুল কালাম আজাদ এন্টার প্রাইজ যেভাবে কাজ করছেন; তাতে যমুনা রক্ষার নামে সরকারি অর্থ যমুনার জলে ফেলার সামিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার সিডিউল মোতাবেক কাজ করছেন না। যমুনা ভাঙ্গন রোধে বাঁশের ঘনত্ব সিডিউল মোতাবেক নেই। নামমাত্র বাঁশ দিয়ে যমুনার ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঠিকাদারের অনিয়মের বিষয়ে দেখা গেছে, বেশ কিছু স্থানে বাঁশের আড়া-আড়ি বেড়া নির্মাণের শুরুতেই ভেঙ্গে যাবার কারণে স্থানীয়রা হতাশাগ্রস্থ হচ্ছেন। ঠিকাদার প্রভাবশালীদের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বাঁশের পাইলিংএর নামে অর্থ লুটেরও পায়তারা চলছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। এজন্য এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কেও প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ দায়েরের সাহস পাচ্ছেন না।

উলিয়া ও হাড়গিলা এলাকার হাসেম আলী, বাবুল সরকার, মনোয়ার হোসেন, মাজন মিয়া জানান, এই অনিয়মের তদারকিও নেই। নিন্মমানের কাজের তদারকি নাকরার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলালের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

চরগোয়ালিনীর দশানি নদী পাড়ার হাবিব মিয়া, মনু ব্যাপারী, হকু মন্ডল বলেন, ভেবে ছিলাম যমুনার ভাঙ্গন থেকে ফসলি জমি ও বাড়িঘর রক্ষা পাবে। কিন্তু কাজের নামে যা করা হচ্ছে তাতে আশার বালি উল্টো দেখা যাচ্ছে। বন্যার আগেই বাঁশের বাঁধ ভেঙ্গে পড়ছে।

ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ জানান, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্পের আওতায় ১কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা ভাঙ্গন রোধে বাঁশের আড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজ করছি। যদি কোথাও ভাঙ্গন থাকে তাহলে পূণ: নির্মাণ করে দেব।

স্থানীয় এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল গণদাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন-আমার কোন লোক কাজের নামে ফায়দা লুটেনি। আমি চাই কাজটি সঠিক-সুন্দর-স্থায়িত্ব পাক। কেননা প্রকল্পটি আমি নিজেই পাস করিয়ে ছিলাম।

 

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ