বেড়ায় উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি প্রদান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:১১
বেড়ায় বিআইডাব্লিউটিএ এর উচ্ছেদ অভিযান অবৈধ আমদানি-রপ্তানি ঘাট স্থাপন করে বৈধ ঘাটে আমদানি-রফতানি ব্যাহত করা, নৌযান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় গতকাল সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত পাবনার বেড়ার বৃশালিখা কোলঘাটে ও রাজঘাট নামে বৃশালিখা ব্যক্তি মালিকাধীন একটি ঘাট ও ঘাট সংলগ্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যক্তি মালিকাধীন পাকা রাস্তা,ওজন স্কেল সহ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয় হয়।
বিআইডাব্লিলউটিএ'র উপসচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম শাহ্ হাবিবুর রহমান হাকিম উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে বিআইডাব্লিউটিএ-র কর্মকর্তা বলেন, বাঘাবাড়ী নদীবন্দরে নিয়ন্ত্রণাধীন পাবনার বেড়া শালিখা পাড়া এলাকায় নদীর তীর ভুমিতে অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ ও কঞ্জারভেন্সী চাজ আদায়ের জন্য এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বাঘাবাড়ী নদীবন্দরের স্বাথ রক্ষার্থে এ অভিযান পরিচালিত হয়নি,বরং বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের হেন্ডিলিং ঠিকাদার বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের অসৎ তথ্য প্রদান ও ছলনার মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নামে ব্যক্তিমালিকাধীন রাস্তা ও স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। শালিখা পাড়া কোলঘাট ও রাজঘাটের উচ্ছেদে অভিযানের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী,ঘাট শ্রমিক,ঘাট ইজারাদার এবং রাজঘাটের প্রতিনিধি সংবাদ সন্মেলন করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন,বৃশালিখা কোল ঘাট ও বেড়া পৌরসভার লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি মালিকাধীন রাজঘাটে অবৈধ কোন পাকা স্থাপনা নেই। রাজঘাটের মালিক ব্যবসায়ী আলহাজ আব্দলু বাতেনের প্রতিনিধি জানান,রাজ এন্টার প্রাইজ বসুন্ধারা কোম্পানীর একজন ডিলার এবং তারা তাদের নিজস্ব কার্গো দ্বারা মালামাল আমদানী রপ্তানী ও পণ্য বাজারজাত করে থাকে। অনেক ব্যবসায়ী এই রাজঘাট আমদানী রপ্তানী ও বাজার জাত করার জন্য এই ঘাট ব্যবহার করে থাকে এবং এর পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ পরিবহন কতৃপক্ষকে নিয়মিত কঞ্জারভেন্সী চার্জ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এই আমদানী রপ্তানী ঘাট দু’টিতে প্রায় ৬ হাজারেরও অধিক শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে থাকেন।
২০১২ সালে বাঘাবাড়ী নদীবন্দরের হেন্ডিলিং ঠিকাদার আলহাজ আব্দুস সালাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে প্রায় ৮ বছর এই বাঘাবাড়ী নদীবন্দর একক ভাবে হেন্ডিলিং সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তার এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের ফলে এখানে কর্মরত ৬ হাজার শ্রমিকের পরিবারের প্রায় ৩০ হাজার সদস্যের জীবন প্রবাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। খড়া মৌসুমে নাব্য সঙ্কটের কারনে কার্গো জাহাজ গুলো যখন বাঘাবাড়ী নৌ বন্দরে পৌঁছাতে পারেনা তখন দেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে জরুরী ভিত্তিতে কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত পণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সরবরাহ করা হয় এই বৃশালিখা কোল ঘাট ও রাজঘাটের মাধ্যমে। কর্মচাঞ্চল্য ঘাটের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে মালামাল লোড আনলোডের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র নিকট দাবী জানান।
আজ মঙ্গলবার বৃশালিখা কোল ঘাটে শ্রমিক ব্যবসায়িরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উচ্ছেদের প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টায় একটি প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভা শেষে বৃশালিখা ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন ও বৃশালিখা গ্রোথসেন্টার ব্যবসায়িক সমিতির নেতৃত্বে বৃশালিখা কোলঘাট থেকে হাজার হাজার শ্রমিক,ব্যবসায়ি তাদের জীবিকা নির্বাহ ও ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনার জন্য পৌরসভার ,সহকারী কমিশনারের (ভুমি),জেলা প্রশাসকের ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে সরেজমিনে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে,এম.মাহবুব আলম।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রমিক ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে ঘৃন্য এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত মোকাবেলা করার আহবান জানান এবং দেশের সবল ও সুষ্ঠ প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতি তাদের গভীর আস্থা প্রকাশ করেন।
এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা
২০১২ সালে বাঘাবাড়ী নদীবন্দরের হেন্ডিলিং ঠিকাদার আলহাজ আব্দুস সালাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে প্রায় ৮ বছর এই বাঘাবাড়ী নদীবন্দর একক ভাবে হেন্ডিলিং সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তার এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের ফলে এখানে কর্মরত ৬ হাজার শ্রমিকের পরিবারের প্রায় ৩০ হাজার সদস্যের জীবন প্রবাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। খড়া মৌসুমে নাব্য সঙ্কটের কারনে কার্গো জাহাজ গুলো যখন বাঘাবাড়ী নৌ বন্দরে পৌঁছাতে পারেনা তখন দেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে জরুরী ভিত্তিতে কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত পণ্য সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সরবরাহ করা হয় এই বৃশালিখা কোল ঘাট ও রাজঘাটের মাধ্যমে। কর্মচাঞ্চল্য ঘাটের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে মালামাল লোড আনলোডের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র নিকট দাবী জানান।
আজ মঙ্গলবার বৃশালিখা কোল ঘাটে শ্রমিক ব্যবসায়িরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উচ্ছেদের প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টায় একটি প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভা শেষে বৃশালিখা ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন ও বৃশালিখা গ্রোথসেন্টার ব্যবসায়িক সমিতির নেতৃত্বে বৃশালিখা কোলঘাট থেকে হাজার হাজার শ্রমিক,ব্যবসায়ি তাদের জীবিকা নির্বাহ ও ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনার জন্য পৌরসভার ,সহকারী কমিশনারের (ভুমি),জেলা প্রশাসকের ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে সরেজমিনে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে,এম.মাহবুব আলম।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রমিক ও ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে ঘৃন্য এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত মোকাবেলা করার আহবান জানান এবং দেশের সবল ও সুষ্ঠ প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতি তাদের গভীর আস্থা প্রকাশ করেন।
এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ