আজকের শিরোনাম :

খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৯

চলতি মৌসুমে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেজুর গাছের রস সংগ্রহের জন্য সকল কাজ সম্পূর্ণ করেছে গাছিরা। প্রতিবছরে ন্যায় মৌসুমী গাছিরা কোমরের দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে ওঠে তাদের নিপুণ হাতে গাছের ছালতোলা, চাঁছা ও নলি বসানোর কাজ শেষে রস সংগ্রহে ব্যস্ত এই অঞ্চলের গাছিরা। বছরজুরে অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও বর্তমান খেজুর গাছের রস ঘরে আনার ব্যস্ততায় দিন কাটছে গাছিদের। 

উপজেলার দুইটি পৌরসভা এবং ছয়টি ইউনিয়নে ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারী অসংখ্য খেজুর গাছ রয়েছে। এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৬ লিটার পর্যন্ত রস সংগ্রহ সম্ভব হয়। তবে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় বেশি রস পাওয়া যাচ্ছে না। যতই শীত চাপছে ততই যেন রস বা খেজুর গুড় ছাড়া জামাই আপ্যায়নে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।  

গ্রামের মানুষদের শীতের সকালের নাস্তাতে মুড়ির সাথে রস না হলে যেন চলে না। শীতকালীন পিঠাপুলি, পায়েসসহ রকমারি খাবার তৈরীতে রস ও খেজুরগুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রসের ফলনের উপর নির্ভর করে খেজুর গুড়ের মুল্য। গাছিরা খেজুরের লালিগুড় তৈরী ছাড়াও পাটা গুড়, বাটি গুড় এবং রস প্রিয়সী মানুষদের জন্য ফেরী করে রস বিক্রয় করে। 

দেশজুড়ে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় গাছিদের বাড়ি থেকেই পাইকারী গুড় বিক্রয় করে সময় ও অর্থ দুটোই লাভবান হন এ অঞ্চলের গাছিরা। তবে গাছিদের অভিযোগ খেজুর গুড় সংরক্ষণের ভাল ব্যবস্থা না থাকায়  বেশি দিন বাড়িতে রাখা যায় না।
 
দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নের তেতুলিয়া দঃ পাড়ার গাছি কাদের প্রাং বলেন রস সংগ্রহের উপযুক্ত আবহাওয়া ভাল থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গুড় উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করছি। তবে  গুড়ের বাজার নির্ভর করছে বেশি রস সংগ্রহের উপর, বর্তমান লালিগুড় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রয় হচ্ছে।
 
উনহাত সিংড়া গ্রামের গাছি মেহেরুল বলেন, কিছু অসাধু গাছিরা অপ্রাপ্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে, যা অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেই গাছগুলোতে একধরণের পোকা দেখা যায় এবং দুই/চার বছরের মধ্যে গাছ গুলো মারা যায়। 

এবিএন/মোঃ আলাল হোসাইন/জসিম/বিদ্যুৎ

এই বিভাগের আরো সংবাদ