আজকের শিরোনাম :

আক্কেলপুরে শীতের শুরুতেই পাখির কিচিরমিচির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪৩

এদেশ পাখির দেশ, কত পাখি আছে এই দেশে, কত রূপ! কত রঙ! কত গান সে পাখিরা কি জানে।” নানা রং রূপের বৈচিত্র্যময় পাখিরা বাংলাদেশকে রূপময় করেছে। পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। তাইতো বাঙালি কবি পাখির দেশ বলেই তা উক্তরূপে ছন্দাকারে বর্ণনা করেছেন।

দেশি ও বিদেশি পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুন্ডুরিয়া গ্রাম। পাখিদের কিচিরমিচির ডাকে ভোরে ঘুম ভাঙ্গে এখন গ্রামবাসীদের। আর প্রতিদিন এসব পাখি দেখতে আসেন আশেপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ। তাই এই গ্রাম পাখির গ্রাম হিসেবে পরিচিত সাধারণ মানুষের কাছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রায় ষাটের দশক থেকে এই গ্রামের পুকুরপাড়ের গাছে বাসা বাধে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের পাখি। গ্রামটি মনোরম সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ হওয়ায় গাছে গাছে গড়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি পাখিদের অভয়ারণ্য। আর এসব পাখিরা গাছে ডিম থেকে প্রজনন করছে বাচ্চাও। থাকছে দল বেঁধে একসাথে। 

এসব পাখির মধ্যে রয়েছে শামুকখোল, বক, আতচোরা, পানকৌড়ি, বাদুর ও হারগিলা। এসব পাখি দেখতে আসা মানুষরা যেমন খুশি তার চেয়ে বেশি গ্রামবাসীরা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই গ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হবে বলে জানান গ্রামবাসীরা।

পাখি দেখতে আসা এক যুবক জানান এই গ্রামে পাখি দেখতে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। আমি সময় পেলেই বৌ বাচ্চাদেরকে নিয়ে পাখি দেখতে আসি। এই গ্রামটি এখন পাখির গ্রাম বলে এলাকায় পরিচিতি হয়েছে। পাখিরা যেন এখানে থাকতে পারে সেজন্য সরকারের উদ্যোগ নেয়া দরকার। 

স্থানীয় রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান হামিদ বলেন এই পাখিগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হলে জয়পুরহাট জেলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাখির অভয়ারণ্য গ্রাম হিসেবে গড়ে উঠবে।  

জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান জানান এই গ্রামে প্রায় ২০ হাজার দেশি-বিদেশি পাখি বসবাস করে। পাখিগুলো যাতে বিলুপ্ত না হয় এবং কোন রোগবালাই না হয় সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। 

এবিএন/আতিউর রাব্বী তিয়াস/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ