আজকের শিরোনাম :

চান্দিনার জোয়াগ আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের

ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি না করার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৮, ১৯:৩৩

কুমিল্লা, ২৬ জুন, এবিনিউজ : কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ আহম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বিক্রি না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ৫ জন অভিভাবক সদস্য ২৬ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, জেলার চান্দিনা উপজেলার ১২নং বড়কড়–ই ইউনিয়ন ও ১৩নং জোয়াগ ইউনিয়নের জোয়াগ ও ভূয়ারি গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৫জন অভিভাবক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে আগ্রহী থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল আউয়াল মজুমদার অনুপস্থিত থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফরম বিতরণ করেন। কিন্তু অভিযোগকারিগন ফরম নিতে গেলে সহকারি প্রধান শিক্ষক অভিযোগকারিদের ফরম দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ও আশেপাশে সন্ত্রাসী দারা তাদেরকে ফরম প্রদানে বাধা প্রদান করে। নিরোপায় হয়ে অভিযোগকারীগন প্রতিকার প্রার্থনা করে উক্ত অভিযোগ দায়ের করেন। 

আগামী ১১ জুলাই একটি গোপন আঁতাতের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন এবং ২৭ জুন ফরম বিক্রয়ের শেষ দিন থাকায় মনোনয়ন পত্র কিনতে না পেরে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিভাবক সদস্য হিসেবে আগ্রহী প্রার্থী ডা. ইবরাহিম খলিল, মো: মোতালেব মুন্সী, রেহেনা বেগম, মো: জহির উদ্দিন, মো: আবুল কালাম স্বাক্ষরিত অভিযোগে বাধা প্রদানের  বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারিরা জানান, আমরা মনোনয়ন পত্র কিনতে গেলে একদল সন্ত্রাসী বাধা প্রদান করে এবং অফিস সহকারি জানান, প্রধান শিক্ষক মনোনয়নপত্র বিক্রির পরবর্তী নির্দেশ না পেলে মনোনয়ন পত্র বিক্রি করা যাবে না।

এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ চান্দিনা সহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেছি। আগ্রহী প্রার্থীরা অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়ন পত্র কিনতে পারবে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল আউয়াল মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বিদ্যালয়ের জরুরি কাজে বাহিরে আছি। অফিস সহকারিকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়ে এসেছি।

এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ