আজকের শিরোনাম :

খোকসায় চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৫

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:২৭

খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সভা স্থলের চেয়ার দখল কেন্দ্র করে দ্বিধা-বিভক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। উত্তেজিত কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। 

আজ সোমবার দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সকালে সাড়ে নয়টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের অংশ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে। 

এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরা এমপি সমর্থিত বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা গেঞ্জি পরা সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংর্ঘষ বাধে। বৈঠা ও দেশীয় আস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া পাল্টা ধায়া শুরু করে। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্টান্ডেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এ ঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

সম্মেলন স্থলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা কেন্দ্র উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়া না হওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কমিটির সদস্য আরিফুল আলম তসর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার। 

সম্মেলন কমিটির সদস্য জানান হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে। সম্মেলন হওয়া না হওয়ার বিষয়ে পরে জানাবেন। 

অপরদিকে উপজেলা সভাপতি জানান কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।     
   
সভাস্থলে হামলায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান, জয়নাল মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল, আকাশ, আছিব, উজ্জল, সাগর, নয়ন, লিটন, জিহাদ, দুলাল, মতিন শেখ, হজরতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিল। এছাড়া বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এছাড়া সম্মেলন স্থলে চারিদিকে সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা সভায় যোগ দেবেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।   

এবিএন/সুমন কুমার মন্ডল/গালিব/জসিম
 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ