আজকের শিরোনাম :

নকলের রাজ্যে শিশুরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:২৫

সারা দেশের মতো গাইবান্ধাতেও পিএসসি গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। চলমান পিএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব নকল সরবরাহ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।

পরীক্ষার্থীদের বইয়ের পাতা ছিঁড়ে লিখতে দিচ্ছে সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষায় থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতেই চলছে নকল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে শত শত অভিভাবক পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করে। শিক্ষকদের উপস্থিতেই তারা বইয়ের পাতাসহ হাতে লেখা নকলের চিরকুট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দেয়। এ দৃশ্য দেখে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক শিক্ষকরা যেন নির্বাক। কেউ কোনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা পারলে নকলে সহায়তা করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ পরীক্ষার্থী প্রকাশ্যে নকল করলেও পরীক্ষা কেন্দ্র ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুন অর রশিদ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পরীক্ষার কোনো পরিবেশ নেই এই কেন্দ্রে এমন অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল।

সাইদুল নামে এক অভিভাবক জানান, এটা কোনো পরীক্ষা কেন্দ্র হলো। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে যার মতো পারছে আসছে নকল দিচ্ছে। এ রেজাল্ট দিয়ে বোঝা যাবে না ভালো শিক্ষার্থী আর মন্দ শিক্ষার্থীর পার্থক্য। নকলের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতে লেখাপড়ায় মান আরও কমে গিয়ে নকলের প্রবণতা বেড়ে যাবে। ফলে ভালো শিক্ষার্থীরা লেখাপাড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আতিয়ার রহমান জানান, ‘নকল প্রতিরোধে আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু অভিভাবকরাই জোর করে নকল দিচ্ছে।’

কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব শাহিনুর ইসলাম সাজু জানান, নকল প্রতিরোধে আমরা সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

পরীক্ষা কেন্দ্র ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুন অর রশিদ জানান, চেষ্টা করেও পরিবেশ শান্ত করা যাচ্ছে না। আমরা নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে চেষ্টা করছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী জানান, বিষয়টি আমি জানি না এবং এরকম ঘটনার খবর আমি শুনি নাই। আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম। যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ