আজকের শিরোনাম :

বিএসএফের ধাওয়ায় মা রইল কাঁটাতারের ওপারে, এপারে শিশু রাবেয়া

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:৫৩ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:৫৭

বয়স তার মাত্র এক বছর দশ মাস। এরই মধ্যে বাবা-মায়ের কোলে চড়েই পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এরপর থেকেই ভারতের মুম্বাইয়ে থাকতো শিশুটি। কিন্তু বিপদ ঘটলো পুনরায় বাবা-মায়ের সঙ্গে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে আসার সময়।

বলছি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাতরাখালি গ্রামের শরিফুল মোল্লার শিশুকন্যা রাবেয়ার কথা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে কাঁটাতারবিহীন ঝিনাইদহের মাটিলা সীমান্ত পার হয়ে বাবা শরিফুল মোল্লার সঙ্গে রাবেয়া বাংলাদেশে ঢুকতে পারলেও বিএসএফের তাড়া খেয়ে মা রয়ে গেছেন ভারতেই।

পরবর্তীকালে বাবার কোলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয় সে। এরপর বিকালের দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে বাবা ও শিশু কন্যাকে প্রেরণ করা হয় আদালতে। তবে, বিজিবির গাড়িতে চড়ে অন্যদের সঙ্গে মহেশপুর থানায় আসার সময় বেশ প্রাণবন্তই দেখায় শিশু রাবেয়াকে। চরম এই বিপদেও শিশু রাবেয়া তার হাসিমাখা মুখেই মাতিয়ে রাখে পুরো থানা চত্বর। তবে, এখনও সে জানে না যে, তার মা এদেশে নেই। আদৌ আর মায়ের কোলে ফিরতে পারবে কি না, সেটা বুঝে ওঠার বয়সও হয়ে ওঠেনি অবুঝ রাবেয়ার।

একই দিন তাদের সঙ্গে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হয় আরও ছয় শিশুসহ মোট ৩০ জন নারী-পুরুষকে।

প্রায় ১৮ মাস পূর্বে তারা পাসপোর্টবিহীন কাঁটাতারের বেড়া পাড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিল। এমনটাই জানিয়ে রাবেয়ার বাবা শরিফুল মোল্লা জানান, কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিলাম। এরপর ভারতের মুম্বাই হোটেলে স্ত্রীসহ আমি কাজ করতাম। কিছুদিন ধরে আমাদের বেতনের টাকা দিচ্ছিল না মালিক। পাশাপাশি নানাভাবে আমাদের নির্যাতন করা হতো। একই সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতারা এসে প্রায়ই ভয় দেখাত আমাদের।

এ দিকে, মালিকেরাও বলত, আমরা ওই দেশের নাগরিক না। তিনি আমাদের বাংলাদেশে চলে আসতে বলেন। এজন্য ভয়ে আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা না নিয়েই বিনা পাসপোর্টে চলে এসেছি। কিন্তু আমার স্ত্রী কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে আসতে পারিনি। জানিনা সে কবে আসবে, না কি আসবেই না।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ