বিয়ের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতানোর অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:৩৭

প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আব্দুল ওয়াদুদ নামের এক প্রতারক। ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই প্রতারক সুন্দরী নারী দেখলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে বিয়ে করে। পরে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে। তার দাবিকৃত নির্ধারিত অঙ্কের যৌতুকের টাকা না দিলে বিয়ে করা নারীদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতিত নারীরা ওয়াদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টো ভুক্তভোগীদের নিকট আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

অভিযোগ রয়েছে, বিয়ে প্রতারক আব্দুল ওয়াদুদকে নিয়ে ইতোমধ্যে ত্রিশাল এবং ময়মনসিংহের আদালত পাড়ায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বিয়ে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের তাসলিমা আক্তার, ধলা গ্রামের রুমা আক্তার, গফরগাঁওয়ের পাকাটি গ্রামের সূচনা আক্তার, ময়মনসিংহের মীম আক্তার ছাড়াও অনেক নারীকে বিয়ে করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমাকে বিয়ে করার আগে আব্দুল ওয়াদুদ তার কাবিন নামায় সে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করে। আমার কাছে বিয়ের রাতে যৌতুকের টাকা দাবি করে এবং পরক্ষণে আরও টাকা দাবি করে সে।

রুমা আক্তার বলেন, দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় আমাকে অমানবিক নির্যাতন করে। মারধর করে আমার হাত ভেঙে দেয় প্রতারক ওয়াদুদ। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে এখন আমার ভাই জাহাঙ্গীরের নামে তার নিজস্ব লোক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বাদী করে উল্টো একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে। এ ছাড়াও ওয়াদুদ আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করে ভয়ভীতি দেখায়। ওই লম্পট ফেসবুকে নগ্ন ছবি পোস্ট করেছে। এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। ফেসবুকে বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে।

ময়মনসিংহের অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জয়িতা শিল্পী জানান, ওয়াদুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় ফাইনাল দিয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ