আজকের শিরোনাম :

লবণ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড সিলেটে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:২৪

লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন খবরে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভোগ্যপণ্যের দোকানে, ছবি : সংগৃহিত
সোমবার সিলেটে সারা দিন ছিল পেঁয়াজ নিয়ে হুলস্থুল। আর সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় লবণ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড। সোমবার সিলেট নগর ও সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ধ্যা থেকে লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এমন খবরে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন জেলা ও মহানগরসহ উপজেলাগুলোর ভোগ্যপণ্যের দোকানে।

বাড়তি চাপে নিমিষেই ফুরিয়ে যায় বিভিন্ন দোকানের লবণ। আবার অনেক ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রির জন্য লবণ মজুদ করে রাখেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিলেটের জকিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুন নাসের জানান, সন্ধ্যা থেকে কোনো এক পক্ষ বাজারে গুজব ছড়িয়েছে যে লবণের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সত্যি বলতে কী লবণের দাম বৃদ্ধির খবর পুরোটাই গুজব। কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই গুজব ছড়াতে পারে।

জকিগঞ্জ বিয়ানিবাজার পুলিশের সার্কেল এএসপি সুদীপ জানান, আমরা মানুষদের সচেতন করতে প্রচারণা চালিয়েছি। যদি কোনো ব্যবসায়ী তারপরও অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সিলেট নগরীরর অনেক ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন, লবণের চাহিদামাফিক সরবরাহ আছে। শিগগিরই দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। তবে ব্যবসায়ীরা এমনটি দাবি করলেও সোমবার রাতেই অনেক দোকানে বাড়তি দামে লবণ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে গুজবকে কেন্দ্র করে এই হুলস্থুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।

নিজের ফেসবুকে পুলিশ সুপার লিখেছেন- ‘প্রিয় সিলেটবাসী, বাজারে নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কোনো নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে এমন গুজবে কান না দেয়ার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লবণ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। বেশিরভাগ মুদির দোকানেই মজুদ ফুরিয়ে গেছে। দোকানে লবণ না পেয়ে দোকানিদের সঙ্গে ক্রেতাদের আক্রমণাত্মক আচরণ করতেও দেখা গেছে। সব ক্রেতাদেরই দাবি, লবণের দাম বাড়তে যাচ্ছে এমন খবর শুনেছেন। তাই লবণ কিনতে এসেছেন তারা।

তবে কোথায় এমন সংবাদ শুনেছেন এ কথা কেউ বলতে পারেননি। সিলেটের শাহী ঈদগাহ’র সামনের মুদি দোকানি ফোরকান উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আচমকা কেবল লবণ কেনার জন্য ক্রেতারা এসে দোকানে ভিড় করতে থাকেন। অল্প সময়ের মধ্যেই আমার দোকানের সব লবণ শেষ হয়ে গেছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ