আজকের শিরোনাম :

বেড়ায় এক সময়ে যানবাহন চলা সড়কটি এখন পরিত্যক্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৭

পাবনা বেড়া উপজেলায় দশ বছর আগে বড়শিলা-নলভাঙ্গা-খাকছাড়া গ্রাম দিয়ে একটি সড়ক নির্মাণের পর আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের মধ্যে। 

সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় উপজেলার সদর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল। এ সময় সড়কে চলতে থাকে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। কিন্ত বর্তমানে সড়কটি ভেঙে চুরে এতটাই বেহাল দশা হয়ে পড়েছে যে ঐ রাস্তা দিয়ে শুধু পায়ে হেঁটে ছাড়া যানবাহন চলাচলের কোন অবস্থা নেই। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় সড়কটি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত। সড়কটি বিলের মধ্য দিয়ে হওয়ায় গ্রামের চারপাশের বেড়া, চাকলা, নলভাঙা, বড়শিলা, খাকছাড়া, দমদমা, পাঁচুরিয়া, তাঁরাপুরসহ দশটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সড়কটি এখন পরিত্যক্ত হওয়ায় যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেড়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায় সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে সড়কটি নির্মাণ করতে খরচ হয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি সরু ও নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছিল যে কারণেই বর্ষা এলে সড়কটির অনেক জায়গা পানিতে তলিয়ে যায় এবং ভেঙ্গে যায়। কিন্তু এবারের বর্ষা ও বৃষ্টিতে সড়কের কয়েকটি স্থান বিলীন হয়ে গেছে। এসব স্থানে কোন যানবাহনের পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব না। এরপরও হঠাৎ কোনো যানবাহন এই সড়কে ঢুকে পড়লে প্রচন্ড দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়। 

এলাকাবাসীদের দাবি গত দশ বছরে এলজিডির পক্ষ থেকে সড়কটির কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি।  এলাকাবাসী আরও জানান রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করার আগে রাস্তাটি উঁচু এবং চওড়া বৃদ্ধি করলে রাস্তাটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একটি সিএনজি রাস্তার ভেঙ্গে যাওয়া অংশে এসে সিএনজিটি তিনজন মিলে ঠেলে তুলছে। সড়কের ব্যাপারে জানতে চাইলে চালক সবুজ রানা বলেন আমি জানতাম এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটু কষ্ট হবে কিন্তু বেড়া হাসপাতাল থেকে একটা রোগী আনার জন্য সময় বাঁচাতে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু যেতে পারছি না কিছু দুর গিয়ে ফিরে আসতেই জীবন শেষ। এ রাস্তা দিয়ে আইসেই চরম বিপদে পরে গেছি। 

দেখা যায় ১০ ফিট সড়কের তিন থেকে চার ফিট সড়ক টিকে আছে এই চার ফিট সড়কের দুইপাশেও কাশবনে ঢেকে গেছে। অবশিষ্ট রয়েছে এক ফিট যেখান দিয়ে একজন মানুষ কোনোমতে চলাচল করা যায়।

খাকছাড়া গ্রামের বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক হোসেন বলেন সড়কটি চালু হওয়ার পর আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেড়ে গিয়েছিল। সড়কটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় যানবাহন তো দূরের কথা শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে আসারও উপায় নেই ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।

এলজিডিরি বেড়া প্রকৌশলী আব্দুল কদ্দুস বলেন সড়কটির মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাপ পাঠানো হয়েছে। 

এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ