আজকের শিরোনাম :

তিতাসে প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ : কর্মসংস্থান খুজে পেয়েছে কয়েকশ যুবক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০৬

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্লাবন ভূমিতে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করায়, এ এলাকার কয়েকশ বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। যা বর্তমানে এই ধারার একটি মডেল। তিতাসে ধান ক্ষেতে বর্ষ মৌসুমে মাছ চাষ ও শুকনো মৌসুমে ধান চাষ করা হয়।

২০০০ সালে প্রথম প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ শুরু করেন উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামের একদল প্রবীণ,তারা হলেন ডাক্তার জিলানী ও মুন্নাফ মেম্বারসহ আরো অনেকে। তাদের দেখাদেখি অন্যরা এগিয়ে এসে প্রায় দুই হাজার শেয়ার হোল্ডার যোগ হয় তাদের সাথে।

উপজেলার আসমানিয়া –রায়পুর সড়কের পূর্ব পাশে প্রায় একশ একর জমি নিয়ে গড়ে তুলেন ডলপিন মৎস্য প্রকল্প। এছারাও ওই এলাকায় রয়েছে বলাকা, জিনুক, এবং শোলাকান্দি ও কেশবপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট বড় মৎস্য প্রকল্প। এসব মৎস্য প্রকল্প থেকে জেলেরা জাল টেনে আনা পর দেখা মিলে  রুই, মিগেল,কাতল, সিলভারকাপ, ভাটা,তেলাপিয়া ও সরপুটি মাছ। পাইকারদের মাছ মেপে দিতে গিয়ে চলছে হাকডাক। ভ্যান ও পিকআপ দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন হাট বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও উপজেলায়। পানিবদ্ধতার কারনে এ অঞ্চলে এক ফসলের বেশি হয় না। এ পানিবদ্ধতা কাজে লাগিয়ে শুরু করে মাছ চাষ। তিতাসের ডলপিন মৎস্য প্রকল্পের পরিচালক জুলফিকার মেম্বার বলেন দক্ষিন নারান্দিয়া গ্রামের ২শ কানি জমি বর্ষা মৌসুমে খালি পরে থাকত। আমরা সমিতির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। এতে করে এলাকার বেকারত্ব অনেক কমে আসছে।

 তিনি আরো বলেন সরকারি সহযোগিতা এবং সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে লোন পেলে ব্যবসার পরিধি ভাড়বে এবং বেকারত্ব আরো কমে যাবে।তিতাস উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আমরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন তিতাসে প্লাবন ভূমিতে যারা করেন এগুলি সামাজিক ভাবে করে আসছে। তাদেরকে আমরা কারিগরি পরামর্শ দিয়ে থাকি।
 

এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ