জামালগঞ্জে সুরমা ও রক্তি নদীতে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:২৬
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জের দুর্লভপুর নৌকাঘাটের নামে রক্তি ও সুরমা নদীতে চলছে চাঁদাবাজীর মহোৎসব।
প্রতিদিনি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারাদার রুবেল আফিন্দী ও তার সিন্ডিকেট। টাকা না দিলে হয়রানী শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
জানা যায় ১৪২৬ বাংলার ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত দুর্লভপুর নৌকা ঘাট এক বছরের জন্য ইজারা নেন দুর্লভপুর গ্রামের হারিছ আলীর ছেলে রুবেল আফিন্দী। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ এবং বার্জ লোড-আনলোডের ক্ষেত্রে ১২৫ টাকা, বড় নৌকায় নৌকায় ১২ করে আদায় করার কথা থাকলেও আদায় করছে তিনগুণ।
এ ছাড়া ফাজিলপুর হতে আসা বালু ও পাথরবাহী নৌকা দুর্লভপুর সংলগ্ন কালীবাড়ী সোবহান মেম্বারের বাড়ী সামনে রক্তি নদীতে ঢুকার সাথে সাথেই চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়ে গুনতে হয় ঢাকাইয়া ভাল্কহেড ১৫’শ, বাজিতপুরি ভাল্কহেড ১২’শ টাকা।
এ দিকে ছাতক, ভোলাগঞ্জ থেকে আসা বালু ও পাথরবাহী ভাল্কহেড দুর্লভপুর সংলগ্ন সুরমা নদীতে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবেই ইজারা নীতিমালা অনুসরণ না করেই অবৈধভাবে চলন্ত নৌকা থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা।
নৌ শ্রমিকেরা জানান ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। আমরা হয়রানীর শিকার। টাকা না দিলে নৌকা আটকে দেয়। আমাদের দাবী দুর্লভপুর নৌকা ঘাটের দুটি পয়েন্টে গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজদের পাকড়াও করা হোক।
ইজারাদার রুবেল আফিন্দী জানান আমি দুর্লভপুর নৌকাঘাট ইজারা নিয়েই সরকার নির্ধারিত হারে টাকা আদায় করছি। আমি কোন অনিয়ম করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন নৌ-পথে চাঁদাবাজি হয় আমার জানা নাই। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন দুর্লভপুর নৌকা ঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হয়েছে। এখানে চাঁদাবাজি হয় আমাদের কাছে খবর আছে।
এ প্রেক্ষিতে মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছি।
এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ