স্বপ্নপূরণের হাতছানি দিচ্ছে কামারগ্রামের টিটিসি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০১৮, ১২:৩২
ফরিদপুর, ২৫ জুন, এবিনিউজ : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিসিসি) নির্মাণের স্বপ্নপূরণে আর খুব বেশি বাকি নেই। দিনরাত কাজ চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাণশ্রমিকরা। ৭০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে আলফাডাঙ্গাবাসীর স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। তারা বলছেন, টিটিসির কার্যক্রম শুরু হলে শুধু আলফাডাঙ্গাই নয়, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার তরুণরাও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উঠবে।
বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচ তলাবিশিষ্ট তিনটি ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্মাণশ্রমিকরা দিনভর কাজ করছেন। প্রয়োজনে রাতেও কাজ হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান তারা।
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি যেসব উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন, কামারগ্রামের টিটিসি এর একটি। তার মাস খানেকের মাথায় শুরু হয় প্রকল্পটির কাজ। বর্তমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন যখন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন, তখন বিদেশের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর চাহিদার বিষয়টি খেয়াল করেন। এরপর সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথম পর্যায়ে ৪০টি উপজেলায় টিটিসি স্থাপনে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের একটি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটও আছে এই প্রকল্পে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলনের প্রচেষ্টা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া ৪০টি টিটিসির মধ্যে একটি অনুমোদিত হয় আলফাডাঙ্গার জন্য।ট্রেনিং সেন্টারের তিনটি ভবনের একটি একাডেমিক ভবন, একটি ডরমেটরি, একটি প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার ও ছাত্রী হোস্টেল। একাডেমিক ভবনটিতে ক্লাস হবে। ডরমেটরিতে থাকবে ছাত্ররা। প্রিন্সিপালদের আবাসিক কোয়ার্টারের উপরে ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে।
টিটিসি নির্মিত হলে শুধু কারিগারি শিক্ষার প্রসারই নয়, গোটা আলফাডাঙ্গার আর্থিক অগ্রগতিও হবে। এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। একে কেন্দ্র করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্নও দেখছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, ‘আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে টিটিসি নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বর্তমান এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতা ছিল।তা না হলে এত বড় প্রকল্প আলফাডাঙ্গাবাসী পেত না।
পাশাপাশি আলফাডাঙ্গার সন্তান আরিফুর রহমান দোলনের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল। তিনি তার যোগাযোগ-সম্পর্কের মাধ্যমে ৪০টি টিটিসির একটি আলফাডাঙ্গায় এনেছেন। এ জন্য তাকেও ধন্যবাদ জানাই।’ জানতে চাইলে ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গোটা আলফাডাঙ্গায় শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন মরহুম কাঞ্চন মুন্সী। তারই উত্তরসূরি আরিফুর রহমান দোলন প্রপিতামহের দেখানো পথে হাঁটছেন। আলফাডাঙ্গায় (কামারগ্রাম) নির্মীয়মাণ টিটিসি বরাদ্দের পেছনে তার দৌড়ঝাঁপের কথা সবাই জানে। এলাকার রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, কবরস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি।’
টিটিসি নির্মাণের জন্য জমিটি দিয়েছে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী। ১৯৩৭ সালে মরহুম কাঞ্চন মুন্সী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, কবরস্থান, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা কাঞ্চন মুন্সীর দান করা জায়গায় স্থাপিত হয়েছে। এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/নির্ঝর
বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচ তলাবিশিষ্ট তিনটি ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্মাণশ্রমিকরা দিনভর কাজ করছেন। প্রয়োজনে রাতেও কাজ হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান তারা।
২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি যেসব উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন, কামারগ্রামের টিটিসি এর একটি। তার মাস খানেকের মাথায় শুরু হয় প্রকল্পটির কাজ। বর্তমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন যখন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন, তখন বিদেশের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর চাহিদার বিষয়টি খেয়াল করেন। এরপর সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথম পর্যায়ে ৪০টি উপজেলায় টিটিসি স্থাপনে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের একটি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটও আছে এই প্রকল্পে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলনের প্রচেষ্টা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া ৪০টি টিটিসির মধ্যে একটি অনুমোদিত হয় আলফাডাঙ্গার জন্য।ট্রেনিং সেন্টারের তিনটি ভবনের একটি একাডেমিক ভবন, একটি ডরমেটরি, একটি প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের কোয়ার্টার ও ছাত্রী হোস্টেল। একাডেমিক ভবনটিতে ক্লাস হবে। ডরমেটরিতে থাকবে ছাত্ররা। প্রিন্সিপালদের আবাসিক কোয়ার্টারের উপরে ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে।
টিটিসি নির্মিত হলে শুধু কারিগারি শিক্ষার প্রসারই নয়, গোটা আলফাডাঙ্গার আর্থিক অগ্রগতিও হবে। এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। একে কেন্দ্র করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্নও দেখছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, ‘আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে টিটিসি নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বর্তমান এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতা ছিল।তা না হলে এত বড় প্রকল্প আলফাডাঙ্গাবাসী পেত না।
পাশাপাশি আলফাডাঙ্গার সন্তান আরিফুর রহমান দোলনের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল। তিনি তার যোগাযোগ-সম্পর্কের মাধ্যমে ৪০টি টিটিসির একটি আলফাডাঙ্গায় এনেছেন। এ জন্য তাকেও ধন্যবাদ জানাই।’ জানতে চাইলে ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গোটা আলফাডাঙ্গায় শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন মরহুম কাঞ্চন মুন্সী। তারই উত্তরসূরি আরিফুর রহমান দোলন প্রপিতামহের দেখানো পথে হাঁটছেন। আলফাডাঙ্গায় (কামারগ্রাম) নির্মীয়মাণ টিটিসি বরাদ্দের পেছনে তার দৌড়ঝাঁপের কথা সবাই জানে। এলাকার রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, কবরস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি।’
টিটিসি নির্মাণের জন্য জমিটি দিয়েছে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী। ১৯৩৭ সালে মরহুম কাঞ্চন মুন্সী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মসজিদ, কবরস্থান, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা কাঞ্চন মুন্সীর দান করা জায়গায় স্থাপিত হয়েছে। এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ