আজকের শিরোনাম :

দশমিনায় মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীকে হত্যার চেষ্টা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০০

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আমতলা বাজারের যৌতুক মামলা তুলে না নেওয়ার জেরে স্বামী ও শ^শুর-শাশুড়ি কর্তৃক এক মামলার বাদীনিকে ৩ সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনা গতকাল বুধবার বিকাল ৫টায় ঘটেছে। 

ভুক্তভোগী ও থানা সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মৃত. আ. সত্তার হাওলাদারের মেয়ে মোসা. সালমা বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মো. সেলিম হাওলাদারে ছেলে মো. ইয়ার উদ্দিন হাওলাদারের বিয়ে হয় গতকাল থেকে প্রায় ১৮/১৯ বছর আগে। দরিদ্রতার কারণে ওই গৃহবধূ ঢাকার একটি গার্মেন্সের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। আয়ের একাংশ টাকা ভবিষ্যতের তহবিল হিসেবে জমা করে রাখত। ওই জমাকৃত টাকা গ্রামের বাড়ীর আমতলা বাজারের এক টুকরো জমি ক্রয় করার জন্য স্বামীকে দেয়। পরে ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণ করার পুনরায় জন্য টাকা দেয়। সালমা বেগমের আয়ের টাকায় স্বামী, শ^শুর ও শাশুড়ির সংসার ভালই চলে আসছিল। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। সালমার আয়ের টাকা জমি ও বসতঘর নির্মাণ হওয়ায় শশুর সেলিম হাং ও শাশুড়ি ফিনারা বেগম কুট্টির লোভ বেড়ে যায়। শ^শুর ও শাশুড়ি কুপরামর্শে স্বামী ইয়ার উদ্দিন তার স্ত্রী ওই গার্মেন্টস কর্মীর কাছে মোটা অংকে যৌতুক দাবি করে। এক পর্যায় গার্মেন্টস কর্মী তার টাকা দিয়ে শাশুড়ি ফিনারা বেগম কুট্টির নামে জমি ক্রয় করায় স্বামীর দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। 

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সালমা বেগম স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হলে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২২০/১৯, তাং- ২৪/০১/১৯ইং। 

ওই মামলা তুলে না নেওয়ায় জন্য গতকাল বুধবার বসতঘরে আটকিয়ে স্বামী, শ^শুর-শাশুড়ি মিলে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায় শাশুড়ি ফিনারা বেগম কুট্টি পুত্রবধু সালমাকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অপচেষ্টা করেন।

 স্থানীয়রা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সালমা বেগম অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সালমার বড় মেয়ে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ঈশিতা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান, আব্বু মাকে মারধর করেছে। দাদা ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। দাদী মার গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে রাখে। 

এ ব্যাপারে সালমার স্বামী ইয়ার উদ্দিন জানান সালমার কিছুই হয়নি। তার অসুস্থতার কারণে বাবায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে, পুলিশ করেনি। 

সালমাকে উদ্ধারকারী দশমিনা থানার এসআই মো. তরিকুল ইসলাম জানান স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। সালমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। 

দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন জানান উপজেলার আমতলা বাজারের সালমার ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব। 

এবিএন/সাইদুর রহমান সাইদ/গালিব/জসিম
     
  
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ