নির্যাতনকারী স্বামী বিরুদ্ধে স্ত্রীর বিচারের দাবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০১৮, ১৪:১৫
অভয়নগর (যশোর), ২৪ জুন, এবিনিউজ : অভয়নগরে অসহায় স্ত্রী তানযিলা পারভীন নির্যাতনকারী ও যৌতুক লোভী প্রতারক স্বামী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারের দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে তানযিলা তার প্রতারক স্বামী রবিউলের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় জিডি ও বিজ্ঞ আদালতে যৌতুক, খোরপোষ-দেনমোহর, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেও বাঁচর কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে স্বামীর দেওয়া মৃত্যুর হুমকি আতংকে একমাত্র শিশুকে নিয়ে চরম ভীতির মধ্যে উপজেলার মহাকাল গ্রামে নিজ পিতা মসলেম আলী ও মাতা রোকেয়া বেগমের নিকট আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তানযিলা পারভীনের সাথে মাগুরা সদরের পারলা গ্রামের হাশেম আলী মোল্যা ও উর্মিলা বেগমের ছেলে রবিউল ইসলামের বিবাহ রেজিস্ট্রী হয়, যার নিকাহ্নামা নং- ১৬০১ (মাগুরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাজী অফিস)।
এরপর থেকে স্ত্রী তানযিলার নিকট যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে বাংলাদেশ নৌঃ জাঃ দিগরাজ থানা- মংলা, জেলা- বাগেরহাটে কুক (বাবুর্চি) পদে কর্মরত স্বামী রবিউল ইসলাম। তার সরকারী সংখ্যা নং- ২০০৯৩০৭৭। রবিউল তার নৌ-বাহিনীতে চাকুরীর দাপট দেখিয়ে হত দরিদ্র শ্বশুরের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আনতে নির্যাতনের মাত্রা বাড়াতে থাকে।
কোনো উপায় না পেয়ে নির্যাতিত তানযিলা যশোরে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভয়নগর আমলী আদালতে স্বামী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩২/১৮। এরপর তানযিলা তার প্রতারক স্বামীর বিরুদ্ধে আরো ২টি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া অভয়নগর থানায় গত ৯ মার্চ ২০১৮ ইং- তারিখ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যার জিডি নং- ৩৬৭।
মামলা ও জিডির পর থেকে রবিউলের মোবাইল ফোনে দেয়া মৃত্যুর ও এসিড নিক্ষেপের হুমকির ভয়ে অসহায় শিশু সন্তানের জননী তানযিলা খুলনা বিএনএস তিতুমীরের প্রধান সহ নৌ-বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বর্তমানে তানযিলা তার অবুঝ শিশুকে নিয়ে মা-বাবর নিকট মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কয়েক বছর যাবৎ স্ত্রী ও শিশুর কোন খরচ বহন না করারও অভিযোগ রয়েছে প্রতারক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে স্ত্রী তানযিলার অভিযোগ মিথ্যা। সরকারি চাকুরী করে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ হলে তদন্ত হয়। তার স্ত্রী ৩টি মামলা করেছেন। আদালতের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। স্ত্রী তানযিলার বিরুদ্ধ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।
এবিএন/সেলিম হোসেন/জসিম/এমসি
এই বিভাগের আরো সংবাদ