আজকের শিরোনাম :

দশমিনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ইলিশ নিধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৮

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে এখনও ডিমওয়ালা মা ইলিশ ও ঝাটকা নিধন চলছে। 

বিশেষ করে ছোট ফাকেঁর অবৈধ কারেন্টজালের পাশাপাশি মশারিজাল, বেড়জাল, চরঘের চাল, খুরচি জালে অবাধে নিধন করা হচ্ছে ইলিশ মাছের রেনু পোনা ও জাটকা। 

এ দিকে গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান। ৩০ জুন পয়ন্ত চলবে এ সংরক্ষণ কার্যক্রম। জেলেদের অভিযোগ অভিযানে ছোট ছোট জেলেদের ধরা হলেও প্রভাবশালীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে অবাধে জাটকা নিধন হলেও তাদের বাধাঁ দেওয়ার কেউ নেই। 

জেলেরা জানান গত ৯ অক্টোম্বর থেকে ৩০ অক্টোম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। এর পরই ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাসের ঝাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সময় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট আকারের ইলিশ মাছ ধরা আইনত নিষেধ। কিন্ত নদীতে প্রচুর ডিমওলা ইলিশ ও ঝাটকা রয়েছে। তাই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঝাটকা সংরক্ষণ অভিযান শুরু হলেও তা মানছে না দশমিনার জেলেরা। জেলেদের অভিযোগ গরীব জেলেরা ঋণ নিয়ে জাল কিনে নৌকা তৈরি করে নদীতে নামে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে। জাল পুরে ফেলে। জেল-জরিমানাও করে। প্রভাবশালীদের চর ঘেরাজালের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পোনা মাছ ধ্বংস করে চলেছে। 

জেলেদের আরো অভিযোগ অবৈধ জাল নিয়ে নদীতে নামলে বাধাঁ দেওয়া হয়। সরকার অবৈধ জালের ফেক্টরী বন্ধ করে না। ফেক্টরীতে ওই অবৈধ জাল উৎপাদন বন্ধ করা না হলে ঝাটকা মাছ সংরক্ষণ করা সম্ভব না বলেও জেলেদের বিশ্বাস। দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার জানান জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে প্রচার প্রচারনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অবরোধকালীন শতকরা ৫০ ভাগ মা ইলিশ মাছে ডিম ছেড়েছে। 

এবিএন/সাইদুর রহমান সাইদ /গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ