আজকের শিরোনাম :

দশমিনায় জেল জরিমানা উপেক্ষা চলছে ইলিশ ধরার উৎসব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৩৩

অবরোধের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। জেল জরিমানা উপেক্ষা করে চলছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীতে মা ইলিশ নিধন। দ্রুতগামী নৌযান না থাকার ও জনবল সংকটের কারণে মা ইলিশ নিধন ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে  প্রশাসনকে। নদীর একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে অপরদিকে জাল ফেলে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজেশে জেলেরা মা ইলিশ নিধন করছে। ওইসব অসাধু ব্যক্তিরা নদীর পারে পাহারা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরে রাখছে প্রশাসনে লোকজনের উপর। 

উপজেলা মৎস্য টার্স্কফোর্স, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের লোকজন দেখলে মোবাইল কিংবা লেজার লাইট দিয়ে সংকেত দিলে জেলেরা নিরাপত্তায় পালিয়ে যান। 

টার্স্কফোর্সের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান অভিযান না যেন আমাদের শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। 

তিনি বলেন নদীতে যেসব ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয় তার চেয়ে বেশি দ্রুতগামী জেলেদের ট্রলার। এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার বাশঁবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, আমবাড়িয়া, কেদির হাট, গোলখালী, রণগোপালদীর আউলিয়াপুরসহ ৭টি পয়েন্টে নিধনকৃত মা ইলিশ বেচাকেনা। 

নলখোলা বন্দরের আবুল বশার জানান তিনি প্রায়  ২ কেজি ওজনের ১৩ হালি মা ইলিশ আউলিয়াপুর বেড়ীবাঁধ থেকে ৭ হাজার ক্রয় করেন। বাশঁবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে জানান নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের কতিপয় লোকদের যোগসাজেশে কতিপয় অসাধু জেলেরা নদীতে মা ইলিশ নিধন করে আসছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করে মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর আলম তালুকদার জানান ওই ইউপি চেয়ারম্যান লোকজন দিয়ে মাছ ধরান। মা ইলিশ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

দশমিনা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই উত্তম জানান একটি স্বার্থন্বেষীমহল অবৈধ সুযোগ সুবিধা না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। আমরা এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫৭ জন জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে এবং ৭টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুউল্ল্যাহ জানান জনবল সংকট, দ্রত নৌযান না থাকায়, বাজেট অপ্রতুল ও কোষ্টগার্ডের স্বল্পতার কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবল ও বাজেট পেলে প্রতিরোধ করা সম্ভাব।   

এবিএন/সাইদুর রহমান সাইদ/গালিব/জসিম 

এই বিভাগের আরো সংবাদ