তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৩৩
সাতক্ষীরা উপজেলার ১০৭নং নুরুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ই›ন্ধনে গতকাল শনিবার ক্লাস বন্ধ করেছে।
গত ১৫ অক্টোবর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে মো. আক্তারুজ্জামান যোগদানের পর গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) তার প্রথম স্কুলে আসার খবরে এলাকার একটি মহলের নেতৃত্বে অভিভাবকরা এদিন তাদের সন্তানদের বই-খাতা নিয়ে আর স্কুলে পাঠায়নি। এ ঘটনায় অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে শিশু শ্রেণীতে ২৫ জন, ১ম শ্রেণীতে ১৪ জন, ২য় শ্রেণীতে ১০ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৬ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১৫ জন ও ৫ম শ্রেণীতে ৯ জন মোট ৭৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে গিয়ে দেখা যায় ১ম শ্রেণীতে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী ও ২য় শ্রেণীতে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কোন কক্ষে কোন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষকরা সকলে অফিস কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে স্থানীয় স্বার্থন্বেষী মহলের দাবি তারা উক্ত প্রধান শিক্ষককে ঐ স্কুলে চান না। তিনি থাকলে তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা ভালভাবে হবেনা বলেও দাবি করেন।
এ সময় তারা আরো বলেন গত প্রায় ৩ বছর যাবৎ বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের কোন নির্বাচন হয়নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) কে আহ্বায়ক করে গঠিত এডহক কমিটি দিয়েই চলছে এর পরিচালনা পরিষদের কার্যক্রম। এমন নানা সংকটে সর্বশেষ মডেল টেস্টে বিদ্যালয়টি থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও তাদের ১ জনও কৃতকার্য হয়নি। তাদের দাবি, বিদ্যালয়টির উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার মানোন্নয়নে এমন একজন প্রধান শিক্ষক চান যিনি বিদ্যালয়টিকে ভালভাবে চেনেন, জানেন ও ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় মনযোগী হবেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান জানান সংকট নিরসনে তিনি শিক্ষক-অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন আমি মাত্র গতকাল শনিবার যোগদান করলাম। অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন বিষয়টি শুনে স্কুল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আজ রবিবার অফিস খুললে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এবিএন/সেলিম হায়দার/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ