কুলাউড়ায় হাজার হাজার বাঁশ কেটে করা হচ্ছে সামাজিক বনায়ন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৪
কুলাউড়ায় সামাজিক বনায়ন করার অজুহাতে কুলাউড়া রেঞ্জের নলডরী বিটের আওতাধীন সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জনকারী বেগুনছড়া ও লবনছড়া বাঁশ মহালের হাজার হাজার বাঁশ কেটে সাবাড় করা হয়েছে।
বন বিভাগের স্থানীয় কুলাউড়া রেঞ্জের নলডরী বিট কর্মকর্তা মানিক রঞ্জন দে অবশ্য বলেছেন খাসিয়ারা মহালের বাঁশ কেটে নিয়েছে আর তারা খালি জায়গা পেয়ে বনায়ন করেছেন।
জানা যায় চলতি বছর নলডরী বিটের আওতাধীন রির্জাভ ফরেষ্টে ২০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন করার উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। এ লক্ষে ৩০/২৫ হাজার পলি ব্যাগে চারা রোপনও করা হয়। কিন্তু খাসিয়ারা রাতের আধারে পলি ব্যাগের সব চারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে সামাজিক বনায়ন করতে বাধা দেয়।
এ বিষয়ে খাসিয়াদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করে বন বিভাগ। পরবর্তীতে খাসিয়াদের বাধায় বনায়ন কার্যক্রম স্তগিত থাকলেও বিট কর্মকর্তা মানিক রঞ্জন দে কৌশল পাল্টিয়ে বন বিভাগের রাজস্ব উপার্জনকারী বাঁশ মহালের বাঁশ কেটেই সামাজিক বনায়ন করে ফেলেন। উপকারভোগী ও শ্রমিক লাগিয়ে মহালের বাঁশ ও প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠো গাছগাছালি কেটে সাবাড় করে লাগানো হয় একাশিয়া প্রজাতীর চারা। আর মহালের বাঁশ ও গাছ বিক্রি করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন বিট কমকর্তা ও কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে বাঁশ ও গাছগাছালি কাটার ফলে বন ও পরিবেশের কমপক্ষে হলেও ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
অনেকে বলেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন বিভাগ যেখানে বাঁশ মহাল রক্ষা করার কথা। গত অর্থ বছর পর্যন্ত মহালটি নিলাম দিয়ে বন বিভাগ ৫০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। সেখানে একই মন্ত্রণালয়ের ফরেষ্টের একজন অফিসার শুধুমাত্র বনায়নের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা হালাল করতে বাঁশ মহালের বাঁশ কেটে বনায়ন করে লাভ কার করলেন, নিজের না সরকারের। এ প্রশ্ন এখন সর্বত্র।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া রেঞ্জের নলডরী বিট কর্মকর্তা মানিক রঞ্জন দে জানান খাসিয়াদের বাধায় মূল স্থানের কিছু জায়গায় এবং মহালের মধ্যে কিছু জায়গায় বনায়ন করতে গিয়ে টুকটাক কিছু বাঁশ কাটা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বাঁশ খাসিয়ারাই কেটেছে। আমরা খালি জায়গা পেয়ে বনায়নের উদ্দেশ্যে গাছের চারা রোপন করেছি।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ