আজকের শিরোনাম :

চিরিরবন্দরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৪

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছে ওই গৃহবধুর পিতা। 

এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডটি উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দগড়বাড়ি গ্রামের মহির চেয়ারম্যানপাড়ায় গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। 

জানা গেছে চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের উত্তর বাঙ্গালপাড়া গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে সালমা খাতুনের সাথে ২ বছর পূর্বে ইসবপুর ইউনিয়নের দগড়বাড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সৌদি প্রবাসী শরিফুল ইসলামের কোর্ট ম্যারিজের মাধ্যমে এবং পরে পারিবারিকভাবে ২ লাখ টাকা যৌতুক ধার্য করে বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস পরেই শরিফুল ইসলাম সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। এরপর থেকেই সালমার সাথে বিভিন্ন সময় শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে তার মনোমালিন্য হয়।  প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হত। এরই এক পর্যায়ে গত ১৭ অক্টাবর দুপুর আড়াইটায় সালমার মরদেহ নিজ শয়নকক্ষে সেলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আত্মহত্যার প্রচারণা চালানো শুরু করে। 

লোক মারফত সংবাদ পেয়ে সালমার পিতা আব্দুস সালাম মেয়ের শ্বশুর বাড়ীতে এসে তার মেয়ের ঝুলানো মরদেহ দেখতে পান এবং কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার মেয়ে নিজে নিজে আত্মহত্যা করলে গলায় লাগানো দড়ি মাথার পিছনে থাকত, কাধের দিকে থাকত না। জিহবা বের হতো, পা ঝুলানো থাকত। কিন্তু আমার মেয়ের পা মেঝেতে লাগানো ছিল। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। 

অপরদিকে শ্বশুর শাশুড়ি জানান ওইদিন সকালে আমরা রাধানগরে ডাক্তার দেখানোর জন্য সকালে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাই। দুপুরে বাড়ী ফিরে বৌমার (সালমার) ঝুলানো মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করি। থানায় পুলিশে সংবাদ দেই। বৌমার সাথে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল। 

থানার এসআই (উপ পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম জানান এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় নামিয়ে সুরতহাল করি। কিছু সন্দেহজনক আলামত পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

এ রিপোর্ট আসলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/গালিব/জসিম 

এই বিভাগের আরো সংবাদ