বদলগাছীতে নিম্নমানের কাজ করায় জনতা ভেঙ্গে দিল ঢালায়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:০৯
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলাহাটের তরকারী হাটীর ২টি সিসি ঢালাই প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করায় ৩ শতাধিক স্থানীয় জনতা তা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
১৪২৬ বঙ্গাব্দে উপজেলার হাট-বাজার ইজারা লব্ধ নীট আয়ের ১৫% অর্থ থেকে কোলাহাটের তরকারী হাটীর পূর্ব সাইডে মেঝে সিসি ঢালাই ২নং প্রকল্পের বিপরীতে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা এবং কোলা বাজারের পশ্চিম সাইডে মেঝে সিসি ঢালাই ৪নং প্রকল্পের বিপরীতে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়।
ইতিপূর্বে কোলাহাটের অবকাঠামো নির্মাণকালীন সময়ে উক্ত তরকারী হাটীর মেঝে ২০ থেকে ২৫ হাজার ইট দিয়ে এইচবিবিকরণ করা হয়েছিল। এই এইচবিবিকরণের পুরাতন ইট উত্তোলন করে তা ভেঙ্গে খোয়া করা হয়।
উল্লেখিত তরকারী হাটীর চারদিকে নিম্নমানের নতুন ইট দিয়ে ১ ফিট উচ্চতা সম্পন্ন বাউন্ডারী করে ১০ ইঞ্চি গাঁথূনী দিয়ে ২টি প্রকল্প একত্রিকরণ করা হয়। বাউন্ডারীর ভিতরের মেঝে বালুদ্বারা ভরাট করার কথা থাকলেও মাটি দিয়ে তার উপর যৎসামান্য বালু দিয়ে ভরাট করে। ভরাট করার পর নতুন-পুরাতন ইটের সমন্বয়ে সোলিং করার পর বালুর পরিমাণ বেশি, পুরাতন ইটের সামান্য খোয়া এবং নামমাত্র সিমেন্ট দিয়ে ঢালাইকালীন সময়ে গতকাল বুধবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩ শতাধিক জনতা উপস্থিত হয়ে ঢালাই ভেঙ্গে দেয় বলে স্থানীয় জনতার ভাষ্যে জানা যায়।
২নং প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম (উজ্জল) এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন তিনি ওই প্রকল্পের সভাপতি কিনা তা জানেন না। এ ছাড়াও তিনি নাটোরে অবস্থান করায় ঢালাই ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলাম (স্বúন) এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন ঢালাইকালীন সময়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে শুনেছেন লেবাররা বালুর পরিমাণ বেশি দিয়ে ঢালায় করার সময়ে কিছু লোক উপস্থিত হয়ে ঢালাইয়ের কিছু অংশ ভেঙ্গে দেয়। পরে আমার নির্দেশে লেবাররা নিয়মানুযায়ী ভেঙ্গে দেওয়া অংশে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করে এবং ঢালাই কাজ চলমান রয়েছে।
৪নং প্রকল্পের সভাপতিকে এবং প্রকল্পেপর কাজ চলাকালীন সময়ে সাইনবোর্ড দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম (স্বপন) বলেন আমি মিটিং এ আছি কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবো না এবং সাইনবোর্ড লাগানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
কোলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে ঢালাই ভেঙ্গে দেয়ার কথা স্বীকার তিনি বলেন শুরু থেকেই প্রকল্প ২টিতে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। উক্ত দুটি প্রকল্পসহ বাস্তবায়নাধীন অন্যান্য প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের করায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ