আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে আন্ত:জেলা ডাকাত সর্দার ইকবাল নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪৪

সোনাগাজীতে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সর্দার ইকবাল হোসেন (৩৫) ওরফে ইকবাল ডাকাত নিহত হয়েছে। ডিবি পুলিশের দাবী বন্দুক যুদ্ধে সে নিহত হয়েছে। সে সদর উপজেলার ছাড়াইতকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

ফেনী ডিবি পুলিশের ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া সমকালকে জানায়, একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠান বাড়ি সংলগ্ন আজম খান মার্কেটে অভিযান চালায় পুলিশ।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল গুলি বর্ষন শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষন করে। এসময় গোলাগুলিতে ডাকাত দল পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে আটক করে ও ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ ব্যাক্তিকে ইকবাল ডাকাত বলে শনাক্ত করেন।গোলাগুলির সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়।

ইকবালকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমদ জানায়, ডাকাত ইকবালে বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় ৪টি ডাকাতির মামলা ছাড়া জেলার অপর থানাগুলোতে বহু ডাকাতির মামলা রয়েছে।পুলিশের কেস ডকেটে তার বিরুদ্ধে ১২ টি মামলার রেকর্ড রয়েছে।

এদিকে ইকবালের নিহতের খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।এলাকাবাসী জানায় তার অপকর্মে সোনাগাজীর সদর ইউনিয়নসহ পূর্বাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো।

প্রসঙ্গত সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ জুলাই তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. সিএস করিমের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ইকবালের নাম উঠে আসে। গ্রেফতারকৃত ৪ জন ডাকাত তার নেতৃত্বে ডাকাতি করেছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ৬ মাস পূর্বে দীর্ঘদিন সাজা খেটে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিল ইকবাল। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সে ডাকাতদলের সদস্যদের সংগঠিত করে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। পুলিশের দাবি ইকবাল জেলখানায় থেকেও তার শীষ্যদের দিয়ে ডাকাতি করাতো। এর আগে একাধিক ঘটনায় তার বাড়ি থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়েছিল।


এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ