আজকের শিরোনাম :

বেগমগঞ্জে ১৬ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:০৯

নোয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বেগমগঞ্জ। ষোল ইউনিয়নসহ চৌমুহনী পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। নোয়াখালীর রাজনৈতিক মেরুকরণ অনেকটাই বেগমগঞ্জ উপজেলার উপর নির্ভর করে। 

এ গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় গত ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বর্তমান নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাকে সভাপতি এবং বর্তমানে বেগমগঞ্জ আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। নানা অজুুহাতে গত ষোল বছর সম্মেলন হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় ৩ বার সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২০ অক্টোবর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এবারের সম্মেলনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশাকে আহবায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতিকমিটি গঠন করা হয়। 

উপজেলা কমিটির সদস্য আলমগীর কবির আলো জানান ইউনিয়ন প্রতি ৩১ জন, পৌরসভায় ৩১ জন এবং বিশেষ কোটায় ২০ জনকে বিশেষ ভোটার করে মোট ৬১৮ জন ভোটারের ভোটের মাধ্যমে এ পরিষদের নেতা নির্বাচিত হবে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ডা. এ বিএম জাফর উল্যা এবারেও সভাপতি প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তার বিপরীতে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সল সভাপতির প্রার্থী হিসাবে প্রচারণায় রয়েছে। তিনি মনে করেন তাঁর রাজনৈতিক সময়ে জেলা ছাত্রলীগের ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন। আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে যোগ্য বিবেচনা করে নেতাকর্মীরা তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করবে।

সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বিগত সময়ের সাধারণ সম্পাদক এমপি মামুনুর রশিদ কিরন প্রাথী আছেন। তাঁরা বিপরীতে শক্ত কোন প্রার্থী না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগমের নাম শুনা যায়। তবে তিনি  তাঁর প্রার্থীতার বিষয়ে নিশ্চিত কোন সিদ্ধান্ত জানান নাই। মামুনুর রশিদ কিরন বলেন তিনি বিগত সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবারেও সাধারণ সম্পাদকের ভোটই করবেন।

দীর্ঘ ষোল বছর পরে বেগমগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক টিপু বলেন নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হলে দলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় না। প্রবীন কর্মীদের প্রতি নবীন কর্মীরা শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেলে তাছাড়া এলাকায় নতুন কর্মীর জন্ম হয় না। অঙ্গ সংগঠনগুলো ও ঠিকমতকাজ করে না। ১৬বছর মূল দলের সম্মেলন হয়নি। ১৭/১৮ বছর যুবলীগের সম্মেলন হয়না ১৪/১৫ বছর ছাত্রলীগের কমিটি হয়না। এগুলো দলের বিকাশের জন্য মারাত্মক অন্তরায়।

এবিএন/গোলাম মহিউদ্দিন নসু/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ