আজকের শিরোনাম :

কুশিয়ারা নদীর পানিতে জগন্নাথপুর প্লাবিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০১৮, ১৭:১৯

সুনামগঞ্জ, ২২ জুন, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের  জগন্নাথপুর  উপজেলায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে  কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকা সহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে  বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে।

গত এক সাপ্তায় কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী জনপদ রানীগঞ্জ,পাইলগাঁও,আশারকান্দি ইউনিয়ন সহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও,আশারকান্দি ও রানীগঞ্জ  ইউনিয়নের বসবাসরত শতশত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে পাইলগাঁও ইউনিয়নের মশাজান, সোনাতলা,নতুন কসবা,খানপুর ও আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেছি বাজার  সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীর পানি সড়কের উপর দিয়ে প্রবেশ করে গোঠা এলাকা বন্যা কবলিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী জনপদ পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলীপুর, খানপুর, গঙ্গানগর, মধুপুর, পুরাতন আলাগদি, মশাজান, জালালপুর, পূর্ব-জালালপুর, সোনতলা, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীনগর, ইসলামপুর, ছাইলা, রানীগঞ্জবাজার, নোয়াগাঁও, আলমপুর, বালিশ্রী, বাগময়না, আটহাল, গন্ধব্বপুর, অনন্তপুর, সুবিদপুর, ব্রাক্ষনগ্রাম,আছিমপুর, নারকেলতলাসহ বেশকয়েটি গ্রামের বসতবাড়ি বন্যা কবলিত হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জালালপুর ক্বাসিমূল উলুম মাদ্রাসা,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সোনাতলা ও আলীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়,রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্যার পানি প্রবেশ করায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।বন্যার পানি শুধু বসতবাড়িরই ক্ষতি করেনি,এলাকার রাস্তাঘাটের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এছাড়াও মৎস খামার ও পুকুরে পানি প্রবেশের ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের মাছ বানের পানিতে চলে যায়।

গবাদিপশুর খাদ্য সংঙ্কট সহ বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংঙ্কট দেখা দিয়েছে।বন্যাজনিত নানা রোগ বালাই সহ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে এমন ভয়ে তটস্থ বন্যার্ত মানুষ। গন্ধর্বŸপুর গ্রামের মৎস খামারের মালিক হাজী এখলাছুর রহমান আখলই বলেন,মৎস খামারে প্রায় এক লক্ষ টাকার মাছ বানের পানিতে চলে গেছে।

বহু কষ্ট করে মৎস খামারটি সাজিয়ে ছিলাম কিন্ত পাইলগাঁও বেরীবাঁধ,বাগময়না গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মজলুর হকের বাড়ির ঢালায় মৎস খামারটি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় পানি বাড়ি,ঘরে থাকায় সকল মালামাল নিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। গবাদি পশুর খাবারের সংকট দেখায় দিয়েছে।

এলাকার বন্যার্ত মানুষের মধ্য সরকারি ত্রান জাতিয় কোন প্রকার সহায়তা দেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হলেও কুশিয়ারা নদীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে।তবে বৃষ্টিপাত না হলে আগামি এক সাপ্তায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

 এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগামী শনিবারে বন্যা কবলিত বিভিন্ন যায়গা পরিদর্শনে যাব। বিশেষ করে কুশিয়ারা নদীর পাড়ের মানুষের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কুশিয়ার নদী ভাঙ্গনের জন্য সমস্যা হয়েছে।কাতিয়া,জালালপুর সহ পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা পাড়ের মানুষদের বন্যা কবলিত হচ্ছে।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ