আজকের শিরোনাম :

চিরিরবন্দরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৯

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিয়ের প্রলোভনে এক তালাকপ্রাপ্ত মহিলা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং বিয়ে না করার তালবাহানার অভিযোগে গত ৭ দিন পূর্বে থানায় এজাহার দায়ের করা হলেও মামলা রুজু না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। 

থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সাইতাড়া গ্রামের আলহাজ বছিরউদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ওইপাড়ার প্রতিবেশী মো. ফুল মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ফরিদা পারভীনের ওপর। মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ফরিদা পারভীনকে দেখে বিভিন্ন প্রকার অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও কু-প্রস্তাব দিত। সে সুকৌশলে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফরিদাকে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমের ফাঁদে আটকে ফেলে। 

এরই একপর্যায়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে আনুমানিক সকাল ১১টায় ফরিদা তার পিতার মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার জন্য মোশারফের বাড়ীতে যায়। এ সময় বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে মোশারফ হোসেন ফরিদাকে তার শয়নকক্ষে নিয়ে গিয়ে শীঘ্রই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রভাবিত ও প্ররোচিত করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মোশারফ হোসেন ফরিদাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুদ্ধ ও প্ররোচিত করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিয়ে স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তাদের বাড়ী পাশাপাশি হওয়ার সুযোগে মোশারফ হোসেন রাতের অন্ধকারে বাড়ীর প্রাচীর টপকে গোপনে আমার শয়নঘরে এসে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে  প্রভাবিত ও প্ররোচিত করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। 

এভাবে ধর্ষণ করার একপর্যায়ে ফরিদা পারভীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরমধ্যে ফরিদা পারভীন মোশারফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ফরিদা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শারীরিক পরিবর্তন ঘটায় ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে যায়। 

এ ঘটনায় গত ১৫/০৯/২০১৯ তারিখে রাত ১০টায় স্থানীয় মোকছেদ আলীর বাড়ীতে এক শালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের সামনে মোশারফ হোসেন স্বীকার করেন যে ফরিদার গর্ভের সন্তান তার ঔরসজাত এবং পরদিন স্বাক্ষীদের সামনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। কিন্তু পরদিন মোশারফ হোসেন ফরিদা পারভীনকে বিয়ে না করে লাপাত্তা ও নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। 

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান আমরা বিভিন্ন স্থানে সোর্স লাগিয়েছি আসামিকে গ্রেফতার করতে। পাওয়া না গেলে দু-একদিনের মধ্যে মামলা রুজু করা হবে। ঘটনাটি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ