আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় পল্লীবিদ্যুতের সংযোগের নামে অর্থ আদায়ের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৩

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে পল্লীবিদ্যুতের নতুন সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিবদমান দুটি পক্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপকের কাছে উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের বংশীকুন্ডা, নিশ্চিন্তপুর, বাসাউড়া, নোয়াগাঁও, বাট্টা, দক্ষিণউড়া, ঢুলপুষি গ্রামে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বছর দেড়েক ধরে বিদ্যুতায়নের কাজ চলমান রয়েছে। বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হওয়ার আগে কাজের দেখভাল করার জন্য বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে সভাপতি, বংশীকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা শামিউল কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও বাসাউড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরঞ্জন সরকার নামের এক ব্যক্তিকে কোষাধ্যক্ষ করে একটি কমিটি গঠন করে এলাকাবাসী।

কিন্তু গতকাল রবিবার দুুপুরে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে থানা যুবলীগ নেতা মো. উজ্জ্বল মিয়া শামিউল কিবরিয়া ও সুরঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্যুতায়নের নামে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

এদিকে আজ সোমবার সকালে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিদ্যুতায়নের ওয়্যারিংয়ের জন্য নিযুক্ত ইলেক্ট্রিশিয়ানের খরচ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে উত্তোলিত পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ইলেক্ট্রিশিয়ানকে না দিয়ে আত্মসাত করার পায়তারা করছেন বলে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপকের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেছেন শামিউল কিবরিয়া।

আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘শামিউল কিবরিয়া ও সুরঞ্জন সরকার প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। এখন মিটার সংযোগের নামে ৬৫০ টাকা করে আদায় করছেন। টাকা না দিলে মিটার দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট দাবি করে শামিউল কিবরিয়া বলেন, ‘কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রদান ছাড়াই সরকারি বিধি মোতাবেক ৮৫০ জন গ্রাহকের মধ্যে ৮০০ গ্রাহকই মিটার পেয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক ইলেক্ট্রিশিয়ানের জন্য উত্তোলিত ৫ লক্ষাধিক টাকা ইলেক্ট্রিশিয়ানকে না দিয়ে আত্মসাতের লক্ষ্যে তার ছেলে উজ্জ্বল মিয়াকে দিয়ে ঘাসী গাং উন্মুক্তের নামে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে নেত্রকোনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখাবে হবে। খুব দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে।’
 

এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ