আজকের শিরোনাম :

মুন্সীগঞ্জে মন্দিরের জমি আত্মসাতের পাঁয়তারা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:৫৪

জাল দলিল তৈরি করে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও বীনাবাণী সার্বজনীন শ্রী শ্রী মন্দিরের ১০ শতাংশ জমি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার প্রল্লাদ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মন্দির কমিটির সঙ্গে প্রল্লাদ বিশ্বাসের বিরোধ চরমে উঠেছে।

জানা যায়, ১৯৮০ সালে পাঁচগাওঁ গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র ব্যানার্জি সরকার থেকে পাঁচগাঁও মৌজার আরএস ৮৭৪ নম্বর দাগের ৪৯ শতাংশ জমি তার নামে লিজ আনেন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে লিজকৃত জায়গার মধ্যে ৬ শতাংশ জমির ওপর সে পাঁচগাঁও বীনাবাণী সার্বজনীন শ্রী শ্রী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত করেন। জমি স্বল্পতার কারণে মন্দিরে পূজা বা প্রার্থনা করতে গেলে হড্ডগোলের সৃষ্টি হয়। এ কারণে বর্তমান কমিটি মন্দিরটি সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেন।

এর আগে মন্দিরের পাশের  জমিতে নারায়ন চন্দ্র ব্যানার্জি প্রল্লাদ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তিকে বসবাস করতে দেন। বর্তমানে মন্দিরটি সম্প্রসারণের জন্য নারায়ন চন্দ্র ব্যানার্জী  প্রল্লাদ বিশ্বাসকে তার লিজ নেওয়া জমি ছেড়ে দিতে বললে প্রল্লাদ বিশ্বাস ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন এবং একটি দলিল দেখান। যা পরবর্তীতে তল্লাশি করে জাল বলে প্রমাণিত হয়।

মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি রতন বিশ্বাস জানান, এ জমির লিজ সূত্রে মালিক মন্দির কমিটির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র ব্যানার্জি মন্দিরের জন্য ২৪ শতাংশ জমি দেন। পরে ওই জমি থেকে প্রল্লাদ বিশ্বাসকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিলে ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন। এতে প্রল্লাদ বিশ্বাসের ছেলে উত্তম বিশ্বাসের সঙ্গে মন্দির কমিটির উত্তেজনামূলক পরিস্থতির সৃষ্টি হয়।
 
মন্দির কমিটির সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র ব্যানার্জী জানান, আমার নামে ৪৯ শতাংশ লিজকৃত জমিতে প্রল্লাদ বিশ্বাস প্রায় সাত শতাংশ জমি ভোগ দখল করে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে মন্দির সম্প্রসারণ করার জন্য মন্দিরের জমি প্রয়োজন তাই তাকে ওই জমিটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু সে ওই জমিটির জাল দলিল তৈরি করে ১০ শতাংশ জমি তার বলে দাবি করেছেন। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি অভিযোগ করলে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস একটি তল্লাশি করেন। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের তল্লাশি রিপোর্টে তার দলিল জাল বলে প্রমাণিত হয়।
 
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রল্লাদ বিশ্বাস জানান, জমির প্রকৃত মালিক আমার মামা শ্বশুর শ্রী কালি মোহন দে। আমার স্ত্রী শ্রীমতি চারু বেপারির নামে ১০শতাংশ জমি দলিল করে দেন। পরবর্তীতে প্রকৃত মালিক শ্রী কালি মোহন দে এ জমি রেখে দেশ ছেড়ে চলে যান। এ জমিতে আমরা গত ১৯ বছর ধরে ঘর-বাড়ি তুলে বসবাস করে আসছি। এখন মন্দির কমিটি মন্দির সম্প্রসারণ করার জন্য আমাদের এ জায়গা থেকে সরে যেতে চাপ প্রয়োগ করছেন।
 
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার জানান, জাল দলিল করেছে কিনা আমার জানা নেই। এই জমিটি ভিপি সম্পত্তির অন্তভুর্ক্ত। আমি তাদের কাগজপত্র নিয়ে আগামী সোমবার আসতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ