আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে যুবলীগ কর্মীর হাত-পা কাটলো স্বদলীয় প্রতিপক্ষরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৮, ১৯:১৫ | আপডেট : ২১ জুন ২০১৮, ১৯:২১

সোনাগাজী (ফেনী), ২১ জুন, এবিনিউজ : সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউপির চরডুব্বা গ্রামের হুদা মিয়ার দোকানে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার সময় নুর উদ্দিন (৩০) নামে যুবলীগ কর্মীকে কুঁপিয়ে শরীর থেকে হাত-পা বিচ্চিন্ন করলো স্বদলীয় প্রতিপক্ষরা।  সে ওই গ্রামের মৌলভি খায়ের আহাম্মদ বাড়ীর হাফিজ উল্যাহর ছেলে

।গুরতর আহত যুবলীগ কর্মীকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।রাতে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক চিকিৎসক নুরুল আলম জানিয়েছে,গুরতর আহত নুর উদ্দিনের বাম পা ও ডান হাত ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীর থেকে বিচ্চিন্ন হয়ে গেছে।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফকির আহাম্মদের ছেলে রিয়াদ কে গ্রেফতার করে।

 আহত যুবলীগ কর্মীর পিতা হাফিজ উল্যাহ জানিয়েছে,পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার রাতে চা দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল,সাইদি ও মোশারফের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার ছেলের উপর হামলা করে।তারা তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে শরীর থেকে হাত-পা বিচ্চিন্ন করে ফেলে।

তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।তিনি আরো জানিয়েছে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাহিন মেম্বারের পরোক্ষ ইন্ধনে অভিযুক্তরা তার ছেলের উপর হামলা করে হাত-পা কেটে নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত বছর নুর উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চরডুব্বা গ্রামের খোকন নামে এক ব্যাক্তির ভাতিজির আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে।বিষয়টি নিয়ে সোহেল,সাইদি ও মোশারফ প্রতিবাদ করলে নুর উদ্দিন ও তার সহযোগীরা খোকন কে পিটিয়ে আহত করে।এ ঘটনার কিছুদিন পর মোশারফ তার দলবল নিয়ে নুর উদ্দিনের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার ভাই নুর করিম কে আহত করে।

পাল্টাপাল্টি ঘটনার জেরে গত বছরের অক্টোবর মাসে মোশারফ কে কুপিয়ে গুরতর আহত করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠে।নুর উদ্দিন আহত হওয়ার ঘটনা ধারাবহিক বিরোধের জের মনে করছে স্থানীয়রা।

ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার কারনে তাদের কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি তবে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য সাহিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জহিরুল আলম জহির বলেছে,আহত নুর উদ্দিন ও অভিযুক্তরা যুবলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।কি কারনে ঘটনাটি ঘটেছে সে ব্যাপারে আমার কোন ধারনা নেই।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আহতের পিতা বাদী হয়ে এজহার নামীয় ৮ জন ও অজ্ঞাত ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

 


এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ