তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যানকে ১১ সদস্যের অনাস্থা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:১৫
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৮নং জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আলী আশরাফের বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে অনাস্থা দিলেন ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন সদস্য। গত ২৯/৯/১৯ইং রবিবার জেলা প্রশাসক বরাবর পরিষদের ১১ সদস্যের স্বাক্ষরিত এই অনাস্থা পত্র দাখিল করেছেন সদস্যরা। অনাস্থা পত্রে উল্লেখ করেন পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ড সভা করার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান কোন ওয়ার্ড সভা করে না। পরিষদে মাসিক সভার নিয়ম থাকা স্বত্তেও কোন মাসিক সভা করেন না এবং সভা না করে সদস্যদের হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ কর্যালয় থাকা স্বত্তেও পরিষদে না বসে, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে তাহার নিজ বাসভবনে বসে অফিস পরিচালনা করে তাহার ইচ্ছা অনুযায়ী। চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে গেইট তালা দিয়ে বিকল্প পথে তাহার বাসভবনে প্রবেশ করান। এতে ইউনিয়নের জনগন সেবা থেকে বাঞ্চিত হচ্ছে এবং আমরা সদস্যগণ আতংকে থাকি যে, চেয়ারম্যানের কথা না শুনলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এছাড়াও কাবিখা,টি আর,রাজস্ব ১ % এল.জি.এস.পি,চল্লিশ দিনের কর্মসূচি, বয়স্ক ভাতা,বিধাব ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল কাজ হইতে আমরা সদস্যগণ বঞ্চিত, চেয়ারম্যান সাহেব উক্ত কাজের টাকা উত্তোলন করে জনগনকে তাহার প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন এবং গরীব-দুঃখীর বিভিন্ন ভাতার টাকা না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই উক্ত টাকা আত্মসাৎ করিতেছেন এবং নিয়মনীতি ভঙ্গ করে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার নাম করে ব্যবসায় হরিলুট চলছে।
প্রতি জন্ম নিবন্ধন থেকে ২৫০ টাকা এবং কোন কোন জন্ম নিবন্ধন থেকে তার চেয়ে অনেক বেশী টাকা আদায় করে এবং টেক্স এর নাম করে জনগণকে ধোকা দিয়ে অধিক পরিমানে টেক্স আদায় করিতেছে। যাহা প্রতি বছর ১৪,০০,০০০/=(চৌদ্দ লাখ) টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করিয়াছে।১৬মাস যাবৎ পরিষদের সদস্যদের সম্মানী ভাতা প্রদান বন্ধ করে দেন এবং সরকার কর্তৃক প্রতি মাসে যে সম্মানী ভাতা দেওয়া হয় সেই টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেন। উপরোল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বৃন্দ।
সদস্যরা হলেন ১নং ওয়ার্ড মো. শাহ আলম,২নং ওয়ার্ড মো.শামীম হোসেন,৩নং ওয়ার্ড মো.আমির হোসেন,সংরক্ষিত ১,২,৩ রীপা আক্তার,৪নং ওয়ার্ড জাকির হোসেন,৫নং ওয়ার্ড দেলোয়ার হোসেন,৬নং ওয়ার্ড মিজানুর রহমান,৭নং ওয়ার্ড মো. জাবেদ হোসেন,৮নংওয়ার্ড শফিকুল ইসলাম,৯নং ওয়ার্ড আব্দুল হান্নান ও সংরক্ষিত ৭,৮,৯মমতাজ বেগম।
এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান হাজ্বী আলী আশরাফকে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছুক না তবে জেলা প্রশাসক তাকে ডাকলে বা নোটিশ করলে তিনি জবাব দিবেন।
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এবিএন/কবির হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ