আজকের শিরোনাম :

শেরপুরে বিষ প্রয়োগে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৪৬

বগুড়ার শেরপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো ১৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ। 

এ ব্যাপারে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায় আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক বটতলা নামক স্থানে রাণীর পুকুর নামক একটি পুকুরে কে বা কারা বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে। এ সময় ওই পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠায় মৎস্য চাষী রাজু ও রায়হান মনে করে পুকুরে অক্সিজেন সংকট হয়েছে। ফলে তারা পুকুরে অক্সিজেন ছিটিয়ে দিলেও মাছ মরা বন্ধ হয়নি। তখন তারা মরা মাছ পুকুর থেকে উত্তোলনের সময় পুকুরের মধ্যে একটি বিষের বোতল (যার অর্ধেক বিষ আছে), একটি বিষের বোতলে কর্ক ও গ্যাস ট্যাবলেট বহনের একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে নিশ্চিত হয় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। 

পরে তারা ওই পুকুরে বিষক্রিয়া নষ্টের জন্য বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ ও নতুন করে পানি দেয়া শুরু করলেও রুই কাতলা, মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাংগাস, সিলভার কার্প, বিগহেড সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মণ মাছ মারা যায়।

মৎস্যচাষী রাজু জানান ওই পুকুরে ২০ হাজার পাংগাস, ২০ হাজার মনোসেক্স তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ২০ বিঘার ওই পুকুরে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এখনো যেভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে তাতে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। 

তিনি আরো জানান পুকুরের আয়তন অনুযায়ী বিষের পরিমাণ কম হওয়ায় কিছুটা রক্ষা হয়েছে, তা না হলে এতক্ষণ পুকুরের সব মারা যেত আর আমাদের পুজি হারিয়ে পথে বসতে হত।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী জানান আমাদের পারিবারিক ওই পুকুরে ভাতিজা মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জেরে পুুকরে বিষ দেয়া হয়েছে। এর আগেও আমার বাগানের শতাধিক গাছ রাতের আধারে কর্তন করা হয়েছিল। 

এ ছাড়াও আমাদের বাড়ীর খরের গাদায় আগুন দিয়ে সেখানেও বড় ধরনের ক্ষতি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দাখিল করবো।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি তদন্ত বুলবুল ইসলাম জানান এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিএন/শহীদুল ইসলাম/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ