চকরিয়ায় প্রস্তুত ৪৬টি পূজা মন্ডপ : তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫১
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব। আর উৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চলছে সাজ সাজ রব। দূর্গোৎসব যাতে সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চকরিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান, এবার চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা পূজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। গতবছর ৪৪টি মন্ডপে দূর্গা পুজা হলেও এবার দুটি পুজা মন্ডব বেড়েছে। এছাড়া ৪০টি ঘটপুজা অনুষ্টিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজও শেষ পর্যায়ে।
চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত দে ও সাধারণ সম্পাদক ডা.অসীম কান্তি দে বলেন, এবারের পুজাকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। অসুরকে মা দূর্গা কীভাবে বিনাশ করেছেন সে রুপ তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া সংগীতানুষ্টান ও নাটক করা হবে। আশা করি সুন্দর একটি পুজা উপহার দিতে পারবো।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের ন্যায় চকরিয়াতেও যাতে সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলা হবে। প্রতিটি পুজা মন্ডপের কমিটি এবং সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কথা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সেচ্ছাসেবকদল, আনসার সদস্য, পুলিশ থাকবে। এছাড়া পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবে।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, প্রতিবছরই চকরিয়া পৌরসভা দূর্গাপুজায় আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। এবছরও পৌরসভার পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশও কাজ করবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, দুর্গোৎসব এখন বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার অসম্প্রাদায়িক চেতনা লালন করে। যার কারণে প্রতিটি সম্প্রদায়ের উৎসবগুলো বাঙ্গালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে।
আমি মনে করি দুর্গোৎসবও বাঙ্গালীর উৎসব। এ উৎসব যাতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্ততি রয়েছে। পূজা মন্ডপগুলোতে যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য পুজার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা এবং পৌরসভার পূজা মন্ডপে ভক্তদের যাতায়তের সুবিধার জন্য সড়কের খানাখন্দকগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হয়েছে।
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ