চিরিরবন্দরে বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড়
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০১৮, ১৬:৪১ | আপডেট : ১৯ জুন ২০১৮, ১৭:০৬
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর), ১৯ জুন, এবিনিউজ : চিরিরবন্দর উপজেলায় চিত্ত বিনোদনের জন্য আজও গড়ে ওঠেনি তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র। বিনোদন কেন্দ্র না থাকলে কি হবে উপজেলার তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে হাইওয়ে রেস্টহাউজ এলাকায় আত্রাই নদীর তীরেসহ উপজেলার বঙ্গবন্ধু সিটি পার্ক (কাঁকড়া ব্রিজ), রাবারড্রামে বিনোদন ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষরা ঈদের দিন ও পরের দু’দিন খোলা ও নির্মল প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়িয়েছের মনের সুখে।
ঈদের ছুটিতে এসব এলাকায় ব্যাপক মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দুপুরের পর উপজেলার তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে হাইওয়ে রেস্টহাউজ এলাকায় আত্রাই নদীর তীরে বেড়াতে আসা মানুষের ঢল নামে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি জানান, সারাদিন কাজের ব্যস্ততার কারণে সাধারণত বেড়ানো হয় না। তাই ঈদের ছুটিতে প্রিয় মানুষটিকে সাথে করে এখানে ঘুরতে এসেছি।
প্রতিবছর এই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকি। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা মেতে ওঠে। তারা এখানে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ায় মনের সুখে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এসব স্থান দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু সিটি পার্কে (কাঁকড়া ব্রিজ) শিশুদের নিয়ে তাদের মা-বাবা কিংবা আত্নীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কেউ ঘোড়ায়, কেউ নাগরদোলায় আবার কেউবা চর্কায় ওঠার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। শিশুদের সাথে তাদের মা-বাবা কিংবা আত্মীয়-স্বজনরাও উঠছেন। টিকেটের মূল্য নাগরদোলায় ১০টাকা, চর্কিঘোরায় ৫টাকা এবং নৌকা ভ্রমণের জন্য ২০টাকা।
পার্কে কথা হয় বড় বোনের সাথে আসা উপজেলার মহাদানী গ্রামের শিশু সুমাইয়া আক্তার সাথীর (৯) সাথে। সে জানায় এখানে বেড়াতে এসে তাকে খুব রোমান্টিক লাগছে। দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে ততই এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদের দিন থেকে শুরু করে টানা ৭দিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। ছবি আছে।
এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক
এই বিভাগের আরো সংবাদ