আজকের শিরোনাম :

দশমিনায় নদী ভাঙ্গনরোধে ব্লক প্রসেসিংয়ের দাবি এলাকাবাসীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:০৬

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে উপকূলীয় এলাকাবাসীর ২৫ সহ¯্রাধিক হেক্টর ফসলী জমি, বসতবাড়ি, গাছপালাসহ সরকারি বেসরকারী স্থাপনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ নদীর ভাঙ্গনরোধে সাইড বেড়ীবাধেঁ ব্লক প্রসেসিং বসানোর দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। নদী ভাঙ্গতি এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্লক প্রসেসিং এর দ্বারাই সম্ভব।

তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ এ দুই নদীর কড়াল গ্রাসে উপজেলার বাশঁবাড়িয়া, আমবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, হাজাীর হাট, গোলখালী, কাটাখালী, সৈয়দ জাফর, চঙ্গার চর, আউলিয়াপুর, পূর্ব আউলিয়াপুর, পাতার চর, চরঘূর্ণি, দক্ষিন রণগোপালদী, চর ভুথাম, চর বাশঁবাড়িয়া, চর হাদী, উত্তর চর শাহজালাল, দক্ষিন চর শাহজালাল, ভোলাই শিং, চর বোরহান, দক্ষিন রণগোপালদীসহ প্রায় ২৫টি গ্রামের ২৫ হাজার হেক্টর ফসলী জমি, বসতবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে ভোলাই শিং গ্রামের অস্থিত্ত হারিয়েছে। 

অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ফলে পাতার চর, চঙ্গার চর, হাজীর হাটসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম বিপর্জ্জয়ের মধ্যে রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমেই নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে উপজেলার বাস্তবতার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তেতুঁলিয়া নদী ভাঙ্গন কবলিত হাজীর হাট লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিভিন্ন স্থাপনা অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে ঐ এলাকার একমাত্র লঞ্চঘাট ও কবর স্থানটি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ঐ ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জামে মসজিদ ও কবর স্থান নদীর গর্ভে বিলীন হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। 

ভূক্তভোগী এলাকাবাসিরা জানান তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী ভাঙ্গনরোধ করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে মৌখিত ও লিখিতভাবে অবহিতকরণসহ নদী ভাঙ্গরোধের বিভিন্ন দাবি দাওয়া করেও কোন সুফল পাইনি।         

এবিএন/সাইদুর রহমান সাইদ/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ