আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে নুসরাত হত্যার আসামি মনির কারাগারে সন্তান প্রসব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০৫

ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি থাকা নুসরাত হত্যা মামলার আসামি কামরুন নাহার মনি কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। সে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ছয় মাস ধরে কারাগারে বন্দি আছে। 

জেলা কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানিয়েছে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বন্দি কামরুন নাহার মনির প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে রাত সাড়ে ১২টায় মনির কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুই জন সুস্থ আছে।

নুসরাত হত্যা মামলায় মনি যখন গ্রেফতার হন তখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। মামলার বিচার কাজ শুরু হলে মনিকে প্রতি কার্য দিবসে আদালতে হাজির করা হয়। তার আইনজীবী কয়েকবার জামিন চাইলেও আদালত না মঞ্জুর করেন। অন্ত:সত্ত্বা থাকার কারণে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারকাজে অংশ নেওয়ার আবেদন জানালে আদালত সেটাও না মঞ্জুর করেন।
আদালতে মনির আনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহেরের নেতৃত্ব গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২৪ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ দিয়ে তাকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ৩৪২ ধারায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার সময় কামরুন নাহার মনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে পিবিআই হেফাজতে তাকে চরম নির্যাতন ও পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ করেন। সে জনায় মনি হুজুরের মুক্তির জন্য জন্য মিচিল মিটিং মানববন্ধন করেছে তাকে গ্রেফতার করেও ছেড়ে দেয় পিবিআই।

ওই সে কাতর কন্ঠে আদালত বলেছেন স্যার আদালতে আসতে আমার খুব কষ্ট হচ্চে। তারপর বিচারক মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পেয়েছি জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যহতি দেন।

ফেনী হাসপাতালে থাকা মনির মা নুরের নাহার মুঠোফোনে জানান সে অসুস্থ থাকলেও নবজাতক সুস্থ আছে। অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তার তাকে রিলিজ করে দিয়েছেন কিছুক্ষণের মধ্যে মনিকে কারাগারে নিয়ে যাবে।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আবু তাহের মুঠো ফোনে জানান মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে আজকে তাকে নিয়ে যেতে পারবে।

নুসরাত হত্যা মামলার বিচার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে চলিত সপ্তাহে রায়ের তারিখ ঘোষণার সম্ভবনা রয়েছে। এ মামলায় মনি দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। 

পরে মামলার বিচার কাজ শুরু হলে আদালতে জবানন্দির বিরুদ্ধে ডিনাই পিটিশন দাখিল করেন। পিটিশনে পিবিআইর বিরুদ্ধে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগপত্র মাদ্রাসার সাইক্লোন সেস্টারের ছাদে যে পাঁচ আসামি নুসরাতকে আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়েছে মনি তাদের একজন।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ