কালীগঞ্জে ধর্ষিতার পিতার কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫৪
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১২ বছরের ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পিতার কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবর্ণাসারা ক্যাম্পের আইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) এসআই সৈয়দ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে একতারপুর গ্রামের বাড়িতে যেয়ে ধর্ষিতার পিতা মোক্তার আলীর কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ আলী।
ভিকটিমের পিতা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমিসহ পরিবারের লোকজন যশোরের চৌগাছায় আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাই। রাতে বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। এ সুযোগে রাতে একতারপুর গ্রামের এবাদ আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি বাদি হয়ে ধর্ষক মশিয়ার রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসারা ক্যাম্পের আইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) এসআই সৈয়দ আলীকে। বৃহস্পতিবার বাড়ির উপর গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার খবর-খরচার কথা বলে ৪/৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন আমরা গরীব মানুষ, টাকা দিতে পারবেন না। এতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন টাকা দিতে পারবেন না, তা মামলা করেছেন কেন? মামলার কাগজপত্র কেনা ও আলামত ঢাকাতে পাঠাতে আমার খরচ লাগবে। এসব কি আমি দিবো, বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে চলে যান। পরে শুক্রবার তাকে ফোন করে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে বাদিকে বলা হয় টাকা না দিলে মামলার ফাইল এভাবে চাপা পড়ে থাকবে। কোন কাজ হবে না। অবশেষে আলামত পাঠানো এবং মামলার কাগজপত্র কেনার কথা বলে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সৈয়দ আলী বলেন, মামলার এজাহারে স্বাক্ষীর নাম নেই। স্বাক্ষীদের নাম নেওয়া ও পিও ভিজিট করার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কোন ঘুষ চায়নি। শুক্রবার ক্যাম্পে বসে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
এবিএন/যবনিকা/জসিম/তোহা
ভিকটিমের পিতা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমিসহ পরিবারের লোকজন যশোরের চৌগাছায় আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাই। রাতে বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। এ সুযোগে রাতে একতারপুর গ্রামের এবাদ আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি বাদি হয়ে ধর্ষক মশিয়ার রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসারা ক্যাম্পের আইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) এসআই সৈয়দ আলীকে। বৃহস্পতিবার বাড়ির উপর গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার খবর-খরচার কথা বলে ৪/৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন আমরা গরীব মানুষ, টাকা দিতে পারবেন না। এতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন টাকা দিতে পারবেন না, তা মামলা করেছেন কেন? মামলার কাগজপত্র কেনা ও আলামত ঢাকাতে পাঠাতে আমার খরচ লাগবে। এসব কি আমি দিবো, বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে চলে যান। পরে শুক্রবার তাকে ফোন করে ক্যাম্পে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে বাদিকে বলা হয় টাকা না দিলে মামলার ফাইল এভাবে চাপা পড়ে থাকবে। কোন কাজ হবে না। অবশেষে আলামত পাঠানো এবং মামলার কাগজপত্র কেনার কথা বলে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সৈয়দ আলী বলেন, মামলার এজাহারে স্বাক্ষীর নাম নেই। স্বাক্ষীদের নাম নেওয়া ও পিও ভিজিট করার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কোন ঘুষ চায়নি। শুক্রবার ক্যাম্পে বসে ১ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
এই বিভাগের আরো সংবাদ