আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জের রেলপথে দু’টি ব্রীজ ঝুকিপূর্ণ : দুর্ঘটনার আশংকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১৭

ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বঙ্কিরোট ও মহিষাখোলা কামারপাড়া নামকস্থানে বৃটিশ আমলে নির্মিত দুটি ব্রীজের গাডারে ফাটল ও লোহার পাতে মরিচা ধরায় চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ বর্ষার অজুহাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, উক্ত এলাকার ২৮ ও ২৯ নং ব্রীজ দুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ধীরগতিতে চলছে ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ২০টি ট্রেন।

বর্ষার পানি নেমে গেলেও এমন অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলেও ওই ব্রীজ দুটি সংস্কার করছেনা রেল বিভাগ। দীর্ঘদিন ধরে রেল বিভাগ ওই ব্রীজে দুটির নিচে লোহার এ্যাঙ্গেল, কাঠের স্লিপারের ঠেকনা(সিসি ক্লিক) দিয়ে কোনমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এছাড়া এ দু‘টি ব্রীজের দু‘পাশে ট্রেনের সর্বচ্চ গতি সীমা ২০ কিলোমিটার লেখা সতর্ক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এমন কি সেখানে রেল বিভাগ থেকে দুইজন ওয়েম্যানও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

 এ বিষয়ে ওয়েম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আমিসহ জাহাঙ্গীর আলম পালাক্রমে এখানে ডিউটি দিচ্ছি। ট্রেন আসা দেখলেই লাল ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে ট্রেনের গতি কমিয়ে চলার সংকেত দেয়া হয়।

এ কারণে এ রুটে চলাচলকারী প্রায় ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। তারা সঠিক সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌছাতে পারছে না। তিনি আরো জানান, এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিটি ট্রেন মাত্র ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে। এর উপরে গেলেই ব্রীজটি ঝাঁকুনি দিয়ে কেঁপে উঠছে। এতে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, ওই রেলপথে সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ^রদী পর্যন্ত যতগুলো ব্রীজ আছে এর অধিকাংশই বৃটিশ আমলে নির্মিত। এ দু‘টি ব্রীজের বয়স ১’শ বছর পাড় হয়েছে। এছাড়া উল্লাপাড়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার রেলপথ অংশটি ঐতিহাসিক চলনবিলের মধ্যে হওয়ায় প্রতি বছর বন্যা মৌসুমে পানির তীব্র ¯্রােত ও ঢেউয়ে ধাক্কায় এ ব্রীজ দু‘টির গাডার দুর্বল হয়ে এর কোথাও কোথাও ফাটলেরও সৃষ্টি হয়েছে। এ রেলপথে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ প্রায় ১৪টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ও ৬টি তেল, কয়লা ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।

পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ডিআরএম আহসান উল্লাহ ভূইঁয়া ওই ব্রীজ দু‘টির উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে ট্রেন চলাচলের কথা স্বীকার করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের বন্যার পানির তীব্র স্রোত ও প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে ব্রীজ দু‘টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্ষার পানি নেমে গেলেও সেখানে এখনো অনেক পানি। এ কারণে ব্রীজ দুটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রেল বিভাগের নজর রয়েছে। পানি নেমে গেলেই ব্রীজ দুটির  পূণার্ঙ্গ মেরামতের কাজ শুরু করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 

এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ