আজকের শিরোনাম :

সুন্দরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় জনগণের একমাত্র ভরসা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:২৭

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। 

উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামের শতশত মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন এই সাঁকোটি দিয়ে ওই এলাকার শতশত মানুষ পারাপার করছেন। 

খোর্দ্দা গ্রামের ইমামগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশেই তাম্বুলপুর ছড়া নদীর উপর বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত দুই বছর আগে নির্মিত হয়। নির্মাণের পর থেকে মেরামত না করায় বর্তমানে নড়বরে হয়ে পড়ে। এই সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন চলাচলকারীরা। 

প্রতিদিন হাট-বাজারসহ স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করে আসছে। দুপাড়ের মানুষের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাকোটি নির্মাণ করেন। ওই পথ দিয়েই পাশর্^বর্তী কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ গাইবান্ধাসহ বিভাগীয় শহর রংপুর যাতায়াত করে থাকেন। 

খোর্দ্দার চরের আ. রশিদ বলেন সাঁকোটি দিয়ে যখন শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার হয় তখন উৎকন্ঠায় চেয়ে দেখি। জ্যোছনা বেগম নামে এক অভিভাবক জানান তার স্বামী জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকেন। তাই তার দুই শিশুর স্কুল যাতায়াতের সময় সাঁকোটি পর্যন্ত যেতে হয়। বর্তমানে মেরামত করার অভাবে দিনদিন সাকোটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই অঞ্চলের ভুক্তভোগীদের দাবি জরুরী ভিত্তিতে সাঁকোর স্থলে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। 

এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর এর সাথে কথা হলে তিনি জানান ইতোমধ্যে উপজেলায় সর্বমোট ১শ মি. দীর্ঘ ব্রিজের তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে চরখোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামের বাঁশের সাঁকোটির স্থানে ব্রিজ নির্মাণেরও তালিকা রয়েছে।

এবিএন/শাহ মো. রেদওয়ানুর রহমান/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ