বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে ধুলিয়া লঞ্চঘাট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৩১

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধূলিয়া ইউপির ধুলিয়া লঞ্চঘাট ও বেশ কয়েকটি দোকানসহ বিশাল এলাকা তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পন্টুন ভাসছে নদীর মধ্যে। এর ফলে ভোগান্তীর শিকার হচ্ছেন ঢাকাগামী ১০টি দোতালা লঞ্চের সহস্্রাধিক যাত্রী।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশাল এলাকা নিয়ে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটটি তেঁতুলিয়ার নদীর করাল গ্রাসে  বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় মান্না নামের এক যুবক বলেন,‘ লঞ্চ ঘাট এলাকার ৮-১০টি দোকানসহ  প্রায় ৩ একর জায়গা বিলিন হয়ে গেছে। ভয়ে ঘাট এলাকায় অন্যান্য দোকানপাট অনত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঘাট বিলিন হয়ে যাওয়ায়, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও কালিশুরী এলাকার লঞ্চ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এ ঘাটে ঢাকা, বরিশাল ও ভোলা, কালাইয়া ও রাঙ্গাবালী  রুটের ছোট বড় ১০টি লঞ্চ প্রতিদিন নোঙ্গর করে। এই ঘাট দিয়ে সহস্্রাধিক যাত্রী আসা যাওয়া করে।

আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন  দেখা গেছে, লঞ্চ ঘাটের পন্টুনটি তীর থেকে ৫শ’ ফুট দূরে ভাসছে। পন্টুনে ওঠার পুল ও সেটের দুই তৃতীয়াংশ নদীর মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ২০-২৫টি দোকান অনত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। আলমাস নামের এক যুবক জানান, শুধু লঞ্চ ঘাট এলাকাই নয়, ওই রাতেই ঘাটের পশ্চিম দিকে বিশাল এলাকাসহ বশে কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও বিপুল সংখ্যক গাছগাছালি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে বসত ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

ধুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান ওরফে আবদুর রব বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নদীতে ভাঙ্গছে ধুলিয়া এলাকা। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি, সহস্্রাধিক বসত ঘর, ভিটা বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে।  ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে অচিরেই ধুলিয়া এলাকা বাউফলের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।


এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ