শিশুর পেটে শিশু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৪৯
নাম ওয়াসি। পেশায় তিনি একজন রিকশাচালক। তার বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর গ্রামে। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ বেগম। তার পাঁচ বছর বয়সী আরেকটি ছেলে রয়েছে। তাফসীর তার দ্বিতীয় সন্তান। জন্মের সময় তাফসীর পেট ছিল অস্বাভাবিক বড়। দিন দিন তার পেট আরও বড় হতে থাকে।
এমন অবস্থায় গত ১ সেপ্টেম্বর তাফসীর বাবা-মা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অস্ত্রোপচার করে তাফসীরের পেট থেকে আরেকটি অপরিণত শিশু বের করা হয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে শিশু তাফসীর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, তাফসীরের পেটে অপরিণত এই শিশু পাওয়া গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে ‘ফিটাস ইন ফিটো’। এর বাংলা অর্থ ‘শিশুর ভেতর শিশু’।
তিনি আরও বলেন, শাহনাজ বেগমের গর্ভে যমজ শিশু জন্ম নিচ্ছিল। কোনো একটা কারণে শিশুর ভ্রুণ আরেকটির ভেতরে ঢুকে যায়। এর ফলে সেই ভ্রুণটি স্বাভাবিক শিশু না হয়ে বিকৃতভাবে বড় হতে থাকে। এক সময় মারা যায়। আর এসব ঘটনা ঘটে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া শিশুটির পেটে। তাফসীরের বাবা ওয়াসিম আকরাম বলেন, তাফসীরের অস্ত্রোপচারের সময় আমার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ভেতরে ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর অপারেশন থিয়েটারেই তাফসীরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ঘুম ভাঙলে তাকে ওয়ার্ডে নেয়া হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে সে এখন সুস্থ আছে। এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
তিনি আরও বলেন, শাহনাজ বেগমের গর্ভে যমজ শিশু জন্ম নিচ্ছিল। কোনো একটা কারণে শিশুর ভ্রুণ আরেকটির ভেতরে ঢুকে যায়। এর ফলে সেই ভ্রুণটি স্বাভাবিক শিশু না হয়ে বিকৃতভাবে বড় হতে থাকে। এক সময় মারা যায়। আর এসব ঘটনা ঘটে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া শিশুটির পেটে। তাফসীরের বাবা ওয়াসিম আকরাম বলেন, তাফসীরের অস্ত্রোপচারের সময় আমার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ভেতরে ছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর অপারেশন থিয়েটারেই তাফসীরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ঘুম ভাঙলে তাকে ওয়ার্ডে নেয়া হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে সে এখন সুস্থ আছে। এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ