আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় ৪৬ মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপনে ব্যাপক প্রস্ততি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৫

কয়েকদিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব। আর উৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চলছে সাজ সাজ রব। দূর্গোৎসব যাতে সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্টিত হয় সেজন্য বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ চকরিয়া উপজেলা শাখা, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্ততি।  

এরই আলোকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চকরিয়া পৌরশহরের এস.আর প্লাজাস্থ পরিষদের কার্যালয়ে চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও পৌর পরিষদের উদ্যোগে এক প্রস্ততি সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথের সঞ্চালনায় প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুধাম দাশ, সাবেক সহ-সভাপতি এম.আর চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি টিটু বসাক, সাধারণ সম্পাদক নিলোৎপল দাশ প্রমুখ।

চকরিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ জানান, এবার চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা পূজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। গতবছর ৪৪টি মন্ডপে দূর্গা পুজা হলেও এবার দুটি পুজা মন্ডব বেড়েছ। ইতোমধ্যে এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে।

তিনি প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান, যেসব পূজা মন্ডপের যাতায়তের সড়ক বেহাল অবস্থা রয়েছে সেসব সড়কগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করে দেয়ার।   

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের ন্যায় চকরিয়াতেও যাতে সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুজা কমিটি এবং সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কথা হয়েছে। তাদের সাথে পরামর্শক্রমে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, দুর্গোৎসব এখন বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকার অসম্প্রাদায়িক চেতনা লালন করে। যার কারণে প্রতিটি সম্প্রদায়ের উৎসবগুলো বাঙ্গালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে।

আমি মনে করি দুর্গোৎসবও বাঙ্গালীর উৎসব। এ উৎসব যাতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারি আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্ততি রয়েছে। পুজা মন্ডপগুলোতে যাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেজন্য পুজার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।  

তিনি আরো বলেন, উপজেলা এবং পৌরসভার পুজা মন্ডপে ভক্তদের যাতায়তের সুবিধার জন্য সড়কের খানাখন্দকগুলো জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।


এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ