আজকের শিরোনাম :

বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটে চিকিৎসা ব্যাহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৪ | আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৫৮

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৭ ঘন্টা ডাক্তার শূন্য থাকার অভিযোগ উঠেছে। ফলে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে উপজেলার জনসাধারণ বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারহানা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন এবং মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাহবুব আলী ও ডা. সামছুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ডাক্তার কানিস ফারহানা এবং ডা. সামছুল আলম নওগাঁ সদরে ও ডা. মাহবুব আলী রাজশাহী শহরে অবস্থান করেন। তারা তাদের স্বস্ব অবস্থান থেকে সকাল ১০টা থেকে ১১টায় বদলগাছী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে বিকাল ৫টায় আবার তিনজন নওগাঁ এবং রাজশাহী সদরে চলে যান। এর পর থেকে পরের দিন সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত এই ১৭ ঘন্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ডাক্তার শূন্য অবস্থায় থাকে। 

ডাক্তার শূন্য ১৭ ঘন্টা অবস্থায় অন্তঃ বিভাগ (ভর্তি), বহিঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার। অর্থাৎ ২ জন ডাক্তার দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি খুড়ে খুড়ে চলছে। ডাক্তারদের কর্ম তালিকা অনুযায়ী ২১ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদ রয়েছে। জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেডিয়াটিক্স) ডাক্তার রতন কুমার সিংহ ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর যোগদানের পর প্রেষণে নওগাঁ সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারহানার কার্যালয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান উপরোল্লিখিত ডা. মাহবুব আলী ও ডা. সামছুল আলম রাজশাহী ও নওগাঁতে অবস্থান করে। তবে কোয়াটারে থেকে পালাক্রমে আড়াই দিন অর্থাৎ ৫৬ ঘন্টা করে তারা ডিউটি করেন।  

এ ছাড়াও তিনি বলেন গত সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই তিন রাত প্রায় ৪৮ ঘন্টা হাসপাতালটি ডাক্তার  শূন্য থাকে। শূন্যকালীন সময়ে উপ-সহকারী অফিসাররা চিকিৎসা সেবা দিয়ে  থাকেন এবং ডাক্তার সংকটজনিত কারণে বহিঃবিভাগে ডাক্তার দেওয়া যায় না। প্রতিমাসে রোগীর সংখ্যা ও চিকিৎসা বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন গত আগষ্ট মাসে বহিঃবিভাগে ৩ হাজার ৮১৮ জন, অন্তঃ বিভাগে ৪২৪ জন ও জরুরী বিভাগে ৯৭৭ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেন। তবে অনুমোদিত বাকি ১৯ জন ডাক্তার না থাকায় কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। 

এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা সিভিল  সার্জন ডা. মুমিনুল ইসলাম বলেন, জেলার সব উপজেলায় ডাক্তার সংকট আছে। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই এ সমস্যা নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম


    

এই বিভাগের আরো সংবাদ