আজকের শিরোনাম :

রামপালে স্কুল দপ্তরীর বিরুদ্ধে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪১ | আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৬

রামপালের একটি স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ( ৯সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার তালবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে গনস্বাক্ষরকৃত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওই স্কুলে পড়ুয়া একাধিক শিশুর সাথে যৌন হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে।

এলাকাবাসী ও অভিযোগসূত্রে জানাযায়,তালবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী সাহেব আলী আকুজ্ঞীর ছেলে ফরিদ আলী আকুজ্ঞী (৩০) একই গ্রামের রশিদ কাজীর পুত্র মানসিক প্রতিবন্ধী মোয়াজ্জেম কাজী (১৬) কে খাবারের প্রলোভন দিয়ে বিদ্যালয়ের ছাদে ডেকে নিয়ে তার সাথে সমকামীতায় লিপ্ত হয়।

এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ফরিদকে আটকের চেষ্টা চালায়। ফরিদ আটককারীদের উপর কিল ঘুসি চড় ও স্টিলের স্কেল দিয়ে হামলা চালিয়ে দিগম্বর অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই এলাকার একাধিক অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। অভিভাবকরা এইধরনের একাধিক ঘটনা প্রধান শিক্ষিকা অবহিত করলেও এর আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যাবস্থা নেননি বলেও সাংবাদিকদের কাছে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

স্কুলেগিয়ে দেখা গেছে,ফরিদ এসএসসি পাশ হওয়া স্বত্বেও নিয়োগের সময় সে ৮ম শ্রেণী পাশের একটি সনদ জমা দিয়েছে। এসএসসি সার্টিফিকেটে চাকুরীর বয়স না থাকায় ইসলামাবাদ সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সে মোটা টাকার বিনিময়ে ৮ম শ্রেণী পাশের এই সনদ কিনেছে বলে ফরিদ সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছে। এছাড়া ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকায় আলাদা দুটি স্থানে ভিন্ন জম্মতারিখ দেখা গেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাসনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনারদিন সন্ধ্যার পরপরই আমাকে স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি সম্পর্কে মোবাইলে জানায়। পরদিন সকালে স্কুল আসলে তারা আমার কাছে তালাচাবি জমা দিয়েছে। স্কুলের অভিভাবকরা এবং স্থানীয় লোকজন আমার কাছে অভিযোগ করছে। বিষয়টি আমি আমার উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

অভিযুক্ত ফরিদের কাছে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। এসএসসি পাশ হয়েও ৮ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট দিয়ে বয়স কমিয়ে চাকরী কেন নিয়েছেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি।

তবে ইসলামাবাদ সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী লিয়াকত কে মোটা টাকার বিনিময়ে ৮ম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট গ্রহন করেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে বলেন।

রামপাল থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটি স্কুল কমিটির নিজস্ব ব্যাপার। স্কুল কমিটি ওই দপ্তরীকে নিয়োগ দিয়েছে,তারাই ব্যাবস্থা নেবে।

ইউএনও তুষার কুমার পাল এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনাটি আমি জেনেছি। আমি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবো।
 

  এবিএন/খৈয়াম হোসেন খিজির/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ